নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন তিতপাড়া (হাজিপাড়া) গ্রামের লতিফর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৬) ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারী বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি জলঢাকা উপজেলার পাঠান পাড়া গ্রামে বিবাহ করেন বৈবাহিক জীবনে তার কোন সন্তান নেই।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের দূর্গম এলাকা কুইতে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে মোতায়েন ছিল। দেশটির পশ্চিম সেক্টরের বোয়ার এলাকায় যুদ্ধ চলাকালীন জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের কার্যক্রম পরিচালনা কালে বোমা হামলার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১ঃ৩৫ মিনিটে বোমার আঘাতে গুরত্বর আহত হন জাহাঙ্গীরসহ তিন সেনা সদস্য। গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৪৪ কিলোমিটার দূরের বোয়ার এলাকার মিনুসকা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কতৃব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরসহ আহত তিন সৈনিককে মৃত ঘোষনা করেন। ১১ দিন পর শুক্রবার রাতে তার লাশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঢাকা সদর দপ্তরে এসে পৌছায়। সেখানে তাদের কার্যক্রম শেষে শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তার গ্রামের বাড়ী ডিমলা উপজেলার আরবিআর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসে পৌছায়। সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তার নিজ বাড়ীতে লাশ পৌছানোর পরে দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য লাখো জনতার ঢল নামে এবং এলাকায় হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় উপস্থিত সকলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শহীদ সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বর্তমান দায়িত্বে থাকা সেনাপ্রধান জেনারেল (সিএএস) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলপামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন, ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন গভীর শোক প্রকাশ করেন। এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।