আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে মিনিবাস ও ইজিবাইক চালকদের দ্বন্দ্বের ফলে সড়ক অবরোধ করে রাথায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারন করে। রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮.৩০ টা থেকে দীর্ঘ দুই-আড়াই ঘন্টা আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন বাস শ্রমিকরা। তবে পরবর্তীতে কুল্যার মোড়ে আবারো যানজটের সৃষ্টি হলে আরও ২/৩ ঘন্টা যানজটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে মিনি বাস চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম যাত্রীবাহী বাস নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বুধহাটা করিম সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে স্থানীয় ইজিবাইক চালক স্টালিন সরদারের সাথে মিনি বাস পার্কিং করা নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে গড়ায়। এ সময় মিনি বাস চালক শহিদুল ইসলাম অন্য শ্রমিকদের সাথে নিয়ে সড়কে মিনিবাস আড়াআড়ি করে রেখে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিয়াবুল ইসলাম শিহাব দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কুল্যার মোড় এলাকায় কিছু যানবাহন পাশে রেখে দেওয়া হলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত ছোট বড় যানবাহন আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়ক ও কুল্যা দরগাহপুর সড়কে দীর্ঘ লাইনে ও এলোমেলো অবস্থায় আটকে পড়ে। ফলে
এদিকে উভয়পক্ষের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বৈঠক করেন থানা পুলিশ। আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের লাইন সেক্রেটারি সুমন গাজী বলেন রেজিস্ট্রেশন বিহীন ইজিবাইক ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালকদ্বারা সড়কে অবাদে চলাচল করছে ইজিবাইক। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ইজিবাইক চালকরা যত্রতত্রভাবে রাস্তার উপরে যানবাহন পার্কিং করায় বাড়ছে যানজট।
বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিয়াবুল ইসলাম শিহাব জানান, সড়ককে যানজটমুক্ত করতে বুধহাটা করিম মার্কেটের সামনে থেকে ইজিবাইক স্ট্যান্ড অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে নিয়ে আগামীতে বসবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।