আশাশুনি উপজেলার উত্তর একসরা গ্রামের মৃত মুনছুর মালীর ছেলে বিল্লাল হোসেনকে বিদেশে পাঠানোর ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করা ও উল্টো সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিল্লাল, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী জানান, বিল্লাল সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেম বিক্রয় কোম্পানীতে চাকুরী করতো। শরীয়তপুর জেলায় কাজ করার সময় বিভিন্ন এলাকায় কিস্তি আদায় করতে হতো। সেখানে অন্যান্যের সাথে সাথী আক্তারের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করা সূত্রে তাদের পরিচায় হয়। সাথীর দুরসম্পর্কের আত্মীয় রিনা বেগমের স্বামী বিদেশে থাকে। সাথী ও রিনার খপ্পরে পড়ে তাকে (বিল্লাল) বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার প্রলোভন দেখিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা দুজনে। সুদে টাকা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা টাকা যোগান দিয়েছিল। বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হলে টাকা আদায়ের জন্য বিল্লাল তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করলে ষড়যন্ত্র করে লোকজন দিয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাথীর সাথে বিল্লালকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বিল্লাল তাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠে। কিন্তু পাওনা টাকা না দেওয়ায় টাকা চাইতে থাকলে হুমকী ধামকী ও খুন জখমের ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে রিনার বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ৬টি ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ছাড়া পেয়ে সে ২/৫/২২ তাং শরিয়াতপুর জেলার পেদাকান্দি গ্রামের রিনাসহ ৩ জনের নামে থানায় জিডি করেন। জিডিনং ৩২৩(০৫)২২। কিন্তু তারা পাওনা টাকা ফেরৎ দেয়া পড়ে থাক আরও টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেকায়দায় ফেলানোর ছলনা করতে থাকে বিল্লাল সৌর বিদ্যুতের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে অন্য স্থানে চাকুরী নেয়। তখন সাথী বিল্লালের আশাশুনির উত্তর একসরা গ্রামের বাড়িতে এসে ওঠে। তাকে বাড়িতে থাকতে দেয়া হয় এবং বিল্লাল চাকরীস্থলে যাতয়াত করতে থাকে। সাথী এ সময় নিজের ইচ্ছে মত চলতে থাকে, যখন খুশি পিত্রালয়ে চলে যায় আবার আসে। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়া বিবাদ লাগাতে থাকে। একপর্যায়ে গত ৬ আগস্ট সকালেল সে ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। মিথ্যা মামলায় জেলের ভাত খাওয়ানো বলে হুমকী দিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিল্লাল হোসেন ৮ আগস্ট আশাশুনি থানায় ৫৩৬ নং জিডি করেছে। গরীব অসহায় পরিবারের সন্তান বিল্লাল জোরপূর্বক বিয়ের শিকার হয়ে চাপিয়ে দেওয়া বউ নিয়ে ঘর সংসার করে এসেছে, আড়াই লক্ষ টাকাসহ পরবর্তী অনেক টাকা ও মালামালের ক্ষতির শিকার হয়েছে। মারপিট ও আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ফাঁপরে ফেলানোর ফন্দির ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। এখন আবার সাথীর নানা হুমকী ও অশালীন কথা বার্তায় জীবনকে বিষিয়ে তোলায় বিপত্তিকর পরিবেশে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে বিল্লাল।