নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ভিক্ষুকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ২১ অক্টোবর সকালে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী মেইল ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ভিক্ষুক মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মাইকেল নামে এক যুবক জানায়,সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী মেইল ট্রেনটি সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেল গেটে এলে সেখানে রেল লাইনের ওপর ব্যবসায়ির কাঁঠাল পাতায় পা পিচলে পড়ে ভিক্ষুক। এ অবস্থায় চলন্ত ট্রেন তার এক পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ওই ভিক্ষুকের একটি পা দ্বিখন্ডিত হয়ে রেল লাইনে পড়ে থাকে। পড়ে থাকা কাটা এক পায়ের অংশ ছেড়ে দ্রুত তাকে নেয়া হয় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তি প্রতিদিন ভিক্ষা করে রেল লাইনের পাশে বসে থাকতেন বলে জানালেন সেখানকার ব্যবসায়িরা। তবে তার নাম কি কোথায় থাকতেন তা কেউ বলতে পারে না।
মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা রনি খান বলেন,দুই নম্বর রেল ঘুমটির দায়িত্বরত গেট ম্যান তার বসবাসের অফিসটি বানিয়েছে গোডাউন ঘর। অফিসের চারপাশে অবৈধ দোকান। ওই দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন নেয়া হয় টাকা। এমনকি ওই গেট ম্যান রেল লাইনের ওপর বসিয়ে দিয়েছেন পাতা ব্যবসায়িকে। গেট ম্যান অনেকটা দায়সারা দায়িত্ব পালন করে চলছে। তার অবহেলার কারণে প্রান গেল ওই ভিক্ষুকের।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয় প্রায়ই সময় কিন্তু অবৈধ দখলদাররা পরোক্ষনেই তাদের ব্যবসা চালু করে। ফলে তাদের অবৈধ ব্যবসার কারণে ওই স্থানটি থাকে যানজট। আর এ কারণেই প্রায় সময় এ স্থানে ঘটে ট্রেন দুর্ঘটনা। এতে প্রান হারায় মানুষ। ইতি পুর্বে এখানে ট্রেনে কাটা পড়ে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। তারপরও টনক নড়ছে না গেট ম্যানসহ কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম জানান,গেট ম্যানের অফিসটির চারপাশ থেকে অবৈধ দোকান স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। কারা এ অবৈধ দোকান বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ি মাহবুব আলি ঝন্টু বলেন,গেট ম্যানের দায়িত্বে অবহেলা মৃত্যুর কারণ। তিনি যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে হয়তো লোকটি বেঁচে যেতেন।