স্বর্ণ ব্যবসায় চোরাচালান রোধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা প্রতিষ্ঠায় সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে এক ছাতার নীচে আনতে কাজ করছে বাজুস। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনবীরের নেতৃত্বে বাজুস নতুন গতিপথ পেয়েছে। বিদেশে স্বর্ণ রপ্তানীর মধ্য দিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা যাতে স্বয়ংসম্পুর্ন হতে পারেন, সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে সঠিক পথে আনা যায় এবং ফরেন রেমিট্যান্স আনার মাধ্যমে স্বর্ণ ব্যবসা যেন জিডিপিতে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে বাজুস এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য সকল বৈধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী, জুয়েলার্সের দোকানে বাজুসের স্টিকার, আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হন। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শেরপুর জেলা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাজুসের কেন্দ্রিয় নেতবৃন্দ এসব কথা বলেন। ২১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে শহরের শহীদ বুলবুল সড়কের শহীদ আবদুর রশীদ মেমোরিয়াল একাডেমি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাজুস কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি ডিস্ট্রিক্ট্র মনিটরিং কমিটির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি ডিস্ট্রিক্ট্র মনিটরিং কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী নাজনীন হোসেন, সদস্য চন্দন কৃমার ঘোষ। বাজুস শেরপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রফিক মজিদণ্ডএর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশীল মালাকার এবং জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি বাজুস কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের গতিশীল নেতৃত্বে বাজুস সারাদেশের স্বর্ণ ব্যবসাীদের একটি ডাটাবেজ তৈরীর কাজ করছে। এতে দেশে প্রতিবছর কত টন স্বর্ণের ব্যবহার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, সে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে। বাজুস এখন স্বর্ণ ব্যবসাকে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক শিল্পপতি স্বর্ণ ব্যবসায় বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠছেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সকলকেই বাজুসের সদস্যপদ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় কোন স্বর্ণ ব্যবসায়ী যদি হয়রানির শিকার হন, বাজুস তাদের বিষয়ে দায়দায়িত্ব নেবে না।
সভার শুরুতে বাজুস নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয়। মুক্ত আলোচনায় জেলা-উপজেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের গঠনতন্ত্রের কিছু বিষয়ে সংশোধানী আনার প্রস্তাব করেন। সেইসাথে লাইসেন্স জটিলতা নিরসন, সদস্য পদ নবায়ন, কমিটি গঠন, দোকানে চুরি-ডাকাতি রোধ, বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ওপর প্রশাসন, পুলিশ, মাস্তান ও প্রভাবশালীদের তরফ থেকে নানা ধরনের হয়রানি সহ নানা বিষয়ে বাজুস কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।