বিএনপির প্রভাবশালী নেতা প্রফেসর শরিয়ত উল্লাহর বোমা মারার হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত দুইদিন থেকে ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে জেলার মুলাদী উপজেলাজুড়ে নেতিবাচক সমালোচনা চলছে।
সম্প্রতি জেলার মুলাদী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বসে অনুষ্ঠিত এক সভায় দেয়া বক্তব্যের মধ্যে ১১ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়ায় ভিডিওতে প্রফেসর বলেন, ‘আমি প্রফেসর যখন কলেজের ভিতরে ঢুকি, বাহিরে আমি বড় মাস্তান। আমার বয়স এখন ৬২, তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি বোমা মারার লোক, আমি স্টেইন গানও চালাইছি’।
ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হওয়ার পর এনিয়ে অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পরেছেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরাও। প্রফেসর শরিয়ত উল্লাহ বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং নগরীর মানিক মিয়া মহিলা কলেজের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
শুক্রবার সকালে ওই উপজেলার অসংখ্য বাসিন্দারা বলেন, শরিয়ত উল্লাহ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে অংসখ্য অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে, তাই তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তারা (এলাকাবাসী) প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিএনপি নেতা প্রফেসর শরিয়ত উল্লাহ বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এডিট করে ভিডিওটি ভাইরাল করেছে। মুলাদী থানা ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তাই ভাইরাল ভিডিও’র ব্যাপারে তদন্ত চলছে।