নেত্রকোণার দুর্গাপুরের এম.কে.সি.এম পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারঃ)মানসিক বিকারগ্রস্ত এস. এম আলমগীর হাসান ¯’ানীয় সাংবাদিদের প্রান নাশের হুমকি সহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছেন প্রতিনিয়ত। শুক্রবার রাতে স্কুলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য তথ্য চাইলে এ হুমকি প্রদান করেন তিনি।
জানাগেছে,দুর্গাপুরের শতবছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম.কে.সি.এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্তির পর থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান, স্কুলের অব্যবস্থাপনা, টিফিনে নি¤œ মানের খাবার পরিবেশন, শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরনের ফলে স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পরবর্তিতে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুলের অচলাবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য মানববন্ধন সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না। এরই প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে স্কুলে না এসেই চার মাস ধরে বাড়ীতে বসে বেতন নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কর্মরত শিক্ষকগন। শিক্ষক এস.এম আলমগীর হাসানের দুর্নীতি নিয়ে কর্মরত শিক্ষকগন প্রতিবাদ করলে দু-জন শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে ভুক্তভোগি শিক্ষকগন জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গেলো ২৮ শে জুন শিক্ষক এস.এম আলমগীর হাসান এই স্কুল থেকে স্ব-ইচ্ছাায় পদত্যাগ করে অন্য স্কুলে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এর কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষার মান নিয়ে হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক স্কুল পরিদর্শনে এসে এই শিক্ষকের নানা অভিযোগের তদন্ত করে গেছেন এবং শতভাগ সত্যতা পেয়েছেন। ¯’ানীয় সাংবাদিক আল নোমান শান্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, একপর্যায়ে সাংবাদিক'কে গালাগাল সহ র্যাব দিয়ে ধরিয়ে আনার হুমকী দেন। এমন আচরণে ¯’ানীয় সাংবাদিকগন তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক আলমগীর হাসান’কে দুর্গাপুর থেকে দ্রুত প্রত্যহারের দাবী জানিয়েছেন।