বগুড়ার গাবতলীতে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা নিয়ে শালিশ বৈঠকে পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া, ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ। উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে দাবী করা হয়েছে, একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল (২২ অক্টোবর শনিবার) উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের পশ্চিম খাঁ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকা শান্তি রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানাগেছে, গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি পশ্চিম খাঁ পাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ খাঁ’র সাথে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম খাঁ’র সাখে ‘কুবা’ জামে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষের মধ্য এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ বৈঠক হয়েছে। উভয়পক্ষ একমত না হওয়ায় পাল্টা-পাল্টি মামলা চলছে। ওই জমিনিয়ে ঘটনার দিন শনিবার বেলা ১১ টায় বাগবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর (আই সি) মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ জন পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদের সামনে জমি মাপযোগ ও শালিস বৈঠক বসে।
দু’পক্ষই ১জন করে জমি মাপযোগকারী সার্ভেয়ার (আমিন) আনে। বৈঠকে জমি মাপযোগ নিয়ে কথাবার্তা চলাকালে দু’পক্ষ তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পরে। পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়, এ সময় পাল্টা-পাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করতে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় আবদুর রাজ্জাক, মামুনুর রশিদ, মান্নাফ, সোলায়মান আলী, আদল, রুবেল, জাফর আলী জাফুসহ ১০ আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে ও সরকারী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ সময় জুয়েল আহম্মেদ নামের একজনকে আটক করেছে। সে বগুড়া চেলোপাড়া এলাকার লবির উদ্দীনের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামুনুর রশিদের পক্ষে মান্নাফ জানান, প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা ৩ শতাংশ জমির জাল রেকর্ড করে বেশী জমি দাবী করছে। সাইফুল ইসলাম জানান, মান্নাফসহ তার সহযোগীরা মসজিদের জমি ঠিকমত মাপযোগকরে বুঝে না দেযায় বিরোধ চলে আসছে। এব্যপারে বাগবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর (আই সি) মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকার শান্তি রক্ষায় বালিয়াদীঘি পশ্চিম খাঁ পাড়া কুবা জামে মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা মাপযোগ করার জন্য বৈঠকেবসি। মাপযোগ শুরুর পুর্বেই উভয়পক্ষ পুলিশের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এ সময় জুয়েল নামের একজনকে আটক করা হয়।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার ঘটনার স্থানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্য বিরোধ চলে আসছিল। এলাকার শান্তি রক্ষায় শনিবার পুলিশের উপস্থিতিতে শালিস ও মাপযোগ বৈঠকব বসে। সেখানে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন পুলিশ একজনকে আটক করা হয়েছে। শান্তি রক্ষায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তÍুতি চলছে বলেও জানান তিনি।