বগুড়ার ধুনটে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাহি উম্মে তাবাসসুমকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ দিয়েছে আদালত। নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর (২৩ অক্টোবর) রোববার দুপুরে এই রায় দেন।
২০২০ সালের (১৪ ডিসেম্বর) ধুনট উপজেলার একটি বাঁশঝাড় থেকে তাবাসসুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাবাসসুমের বাবা-মা ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সে তার দাদা-দাদির সঙ্গে ধনুট উপজেলর নশরতপুর গ্রামে থাকতো। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বাপ্পীর পরিবারের সঙ্গে শিশু তাবাসসুমের বাবা খোকনের দ্বন্দ্ব চলছিল। বাপ্পী তাবাসসুমকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তাবাসসুম তার দাদা-দাদী এবং দুই ফুফুর সঙ্গে ইসলামি জলসায় গেলে আসামিরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যার পরিকল্পনা করে। ইসলামি জলসা চলাকালে রাত ৯টার দিকে আসামিরা তাবাসসুমকে বাদাম কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তাবাসসুমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সে নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরপরেই পুলিশ তাবাসসুমের পারিবারিক দ্বন্দ্ব কে বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করতে থাকে এবং এর ধারাবাহিকতায় ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ, দলিল উদ্দীন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা, সানোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম রেজা ও সাহেব আলীর ছেলে লাবলু শেখকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
রাষ্ট্রেপক্ষের বিশেষ আইনজীবী আশিকুর রহমান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর চারজনকে অভিযুক্ত করে ধুনট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর(তদন্ত) জাহিদুল হক এই চারজন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। সব সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আসামি বাপ্পী আহম্মেদ, কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাভলু শেখের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবী আশিকুর রহমান সুজন আরও জানান, তাবাচ্ছুম হত্যা মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট তাবাসসুমের পরিবার। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী।