সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৮১ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য প্রায় ১১ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অংশের বেতন-ভাতা পাঁচ্ছেন না, যা তাঁদের বেতনের অর্ধেক। নিয়মিত কাজ করে বেতন-ভাতা না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।এ ছাড়া চার বছর ছয় মাস ধরে হাজিরা ভাতাও বন্ধ রয়েছে।
গ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ৮১ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে ৭ জন দফাদার এবং ৭৪জন মহল্লাদার রয়েছেন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী দফাদারেরা প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা ও মহল্লাদাররা ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। মোট বেতনের অর্ধেক ইউপি থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু ১১ মাস ধরে ইউপি অংশের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে আছে।
গ্রাম পুলিশ দোয়ারাবাজার উপজেলা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপজেলা পরিষদ, ইউপিসহ গ্রাম-মহল্লায় দিন-রাত কষ্ট করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, কিন্তু বেতন-ভাতা পাঁচ্ছেন না। বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা জানান,ইউপি চেয়ারম্যানগণ ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ থেকে অর্থাৎ ১% থেকে যে টাকা আসে তা দিয়ে ইউপি অংশের বেতন ভাতা দেওয়া হয়। করোনা ও বন্যার কারণে পর্যাপ্ত ট্যাক্স আদায় করা সম্ভব হয়নি বিধায় তহবিলে টাকার স্বল্পতা রয়েছে তাই সময়মত তাদেরকে বেতন-ভাতা দেয়া যায়নি। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।