বগুড়ার শেরপুরের কালশিমাটি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষি শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে নাসিম বাবু কালশিমাটি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ে গনিত ক্লাস নিচ্ছিলেন কৃষি শিক্ষক হারুন আর রশিদ। এ সময় নাসিম কে জ্যামিতির পড়া ধরলে সে না পাড়ায় তাকে ব্রেঞ্চের উপর কান ধরে নিলডাউন করে রাখে। পরে ডাস্টার দিয়ে হাতের কনুইয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করে। এতে নাসিম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পরে যায়। পরে সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ছেলেটির হাতের কনুইয়ের হাড় ফেটে গেছে। এ প্রসঙ্গে ওই ছাত্রের মা নার্গিস আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে ওই শিক্ষক বেদম মারপিট করার জন্য হাত ভেঙ্গেছে। আমি এর উচিত বিচার চাই। এ ব্যাপারে কালশিমাটি উচ্চবিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মো. হারুন আর রশিদ বলেন, পড়া না পারার কারণে নাসিম সহ কয়েকজন ছাত্রকে কান ধরিয়ে দাড় করিয়ে রেখেছিলাম। তার মধ্যে নাসিম মাথা ঘুরে পরে যায়। পরে শুনলাম নাসিম কিছু না খেয়ে ক্লাশে এসেছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজমুল ইসলাম বলেন, মারধরের কারণে যদি ওই ছাত্রের হাত ভেঙ্গে যায় তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।