পুঠিয়ায় পাচঁটি স্কুল কলেজের ছয়জন শিক্ষক ভুয়া জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ) ২০১৩ইং সাল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে মোট ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাগত এবং যোগ্যতার সনদ ভুয়া জাল বলে তথ্য প্রকাশ করেছে। শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। ডিআইএ তালিকা অনুযায়ী,পুঠিয়া উপজেলার চারটি স্কুল ও একটি কলেজের মোট ছয়জন শিক্ষকের তালিকায় নাম রয়েছে। স্কুল কলেজগুলো হলো, মোঃ জয়, সহকারী শিক্ষক কৃষি, বিলমাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার, ভালুকগাছি গোয়ালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়। সুশীলা রানী, সহকারী শিক্ষক, খ্রিস্টান ধর্ম, ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়। মোঃ সাইদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক কৃষি, ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়। মিস শামীম আরা খাতুন, সহকারী শিক্ষক শরীর চর্চা, শিবপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয়। দুলাল আহমেদ, কৃষির প্রভাষক, পচামাড়িয়া ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়। শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবত ধরে ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করছে, এটা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা, স্থানীয় এলাকাবাসীরা পর্যন্ত জানেন। তারপর, জেলা এবং উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শিক্ষকদের নিকট হতে টাকা নিয়ে চাকরি করাচ্ছেন বলে অন্য শিক্ষকরা অভিযোগ তুলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানায়,অতীতে জনপ্রতি শিক্ষকদের নিকট হতে,রাজনৈতিক ভাবে পুঠিয়া-দুর্গাপুরের এক নেতা দশ/বার লাখ টাকা করে নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দিয়েছিল। এই উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অনেক শিক্ষক কর্মচারিদের ভুয় সনদে চাকরি করছে। সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করলে,আরো অনেক শিক্ষকের নাম এসে যাবে। বর্তমানে উপজেলার সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন/চারজন করে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে ্এই নিয়োগগুলো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আখতার জাহান যুগান্তরকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিকট এখনো পর্যন্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য, লিখিত কোনো আদের্শ আসেনি।