nনীলফামারীর সৈয়দপুরে যুগ যুগ ধরে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে চলে আসছে কতিপয় নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ। স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ পাওয়া যায় এ কাজে। তাই ওই সকল আবাসিক হোটেল মালিক এ কাজ ছাড়তে নারাজ। তারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে থাকে। ভোর বেলা এ সকল হোটেলে বিভিন্ন স্থান থেকে নারী আসে। কাজ শেষে কেউ চলে যায় বিকেলে আবার কেউ থেকে যায় সারারাত ধরে।
মাঝে মধ্যে ওই সকল হোটেলে চলে পুলিশের অভিযান। গ্রেপ্তার করা হয় নারী পুরুষকে। এদের কখনো নেয়া হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে আবার কারো বিরুদ্ধে হয়ে থাকে নিয়মিত মামলা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এদের গুরুদন্ড না দিয়ে লঘু দন্ড দেন। ফলে তারা আইনের হাত থেকে সহজেই পার পেয়ে আবার শুরু করে ব্যবসা। সৈয়দপুর শহরের রানা বোর্ডিং। বার বার পুলিশি অভিযান পরিচালনায় ওই বোর্ডিং থেকে অসামাজিক কাজে ধরা পড়ে বেশ কয়েক জোড়া কপোত কপোতি। মালিকের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে মামলা। ওই মালিক মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে রানা নাম পাল্টিয়ে এখন নাম রাখেন রুবেল বোর্ডিং। মালিক মারা যাওয়ার পর তার ছেলে এখন এটির হাল ধরেন। এ বোর্ডিংয়ে চলে প্রতিদিন অসামাজিক কাজ।
এদিকে বিচালি হাটিতে সম্রাট বোর্ডিং। পুলিশি মামলা থেকে বাঁচতে এটি দেয়া হয়েছে ভাড়ায়। প্রতিদিন দুই হাজার টাকা চুক্তিতে এটি ভাড়ায় নেন আসলাম নামে এক লোক। এদিকে জসিম বিল্ডিং। এ বোর্ডিংয়ে চলে অসামাজিক কাজ। সামনে মসজিদ তারপরও এখানে বন্ধ হয়না নারী ব্যবসা।
মালিক এখানে সব সময় থাকেন না। কর্মচারীরা চালায় অসামাজিক কাজ। এছাড়াও আরও কয়েকটি বোর্ডিং আছে অতি গোপনে চালান হয় ওই কাজ।
গত কয়েকদিন থেকে সৈয়দপুর শহরের বোর্ডিং গুলোতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পুলিশের অভিযানের কথা আগেই ফাঁস হওয়ায় তারা সটকে পড়ে।
অপরপাশে সৈয়দপুর প্লাজায় বেশ কয়েকটি ফাস্ট ফুড দোকান চালু করা হয়। এ দোকান গুলোতে শুধু নারী পুরুষের আড্ডা। এগুলোতে কম আলো দিয়ে রাখা হয় অন্ধকার। দোকানের মধ্যেই চলে অসামাজিক কাজ। কোন কোন মালিকের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। এতোকিছুর পরও বন্ধ হচ্ছে না অসামাজিক কাজ।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা তাদের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অপকর্মে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সীলগালা করা হবে।