প্রথম ৩ ম্যাচ শেষে সমান ৩ করে পয়েন্ট অর্জন করা অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড সোমফাইনালের আশা বাঁচিয়ের রাখার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে। অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই দুই দলেরই। ব্রিজবেনে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ। ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টিতে দেখা হচ্ছে দুই দলের। সুপার টুয়েলভের নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৯ রানে হেরে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল অসিরা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পরের ম্যাচেই অবশ্য জয়ের ধারায় ফেরে অস্ট্রেলিয়া। এশিয়ার সেরা শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় অসিরা। বোলারদের নৈপুন্যের পর ১৮ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন মিডল-অর্ডার ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিস। ২ খেলায় ১টি করে জয়-হার নিয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে পায় অস্ট্রেলিয়া। ব্রিজবেনের সেই ম্যাচে মাঠেই নামতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ দুই দল। সেই ব্রিজবেনের মাঠেই এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচ জিতলে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট হবে অস্ট্রেলিয়ার। এ ম্যাচে জয় পেলে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডকে টপকে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকবে অসিরা। সঙ্গত কারণেই সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় পেতে উদগ্রীব অস্ট্রেলিয়া। দলের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে জয়ের কোন বিকল্প নেই।দলের সকলেই পয়েন্ট টেবিলের পরিস্থিতি সর্ম্পকে অবগত আছে। অভিজ্ঞতা কম থাকলেও প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ভালো দল। জিততে হলে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’ অন্য দিকে প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সুপার টুয়েলভের টিকিট পায় আয়ারল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৯ উইকেটে হার মানে তারা। পরের ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানে জয় পায়। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ১৪ দশমিক ৩ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫ রান করে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের স্বপ্ন ছিলো আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেসে যায় ম্যাচটি। তবে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর আয়ারল্যান্ড। ওপেনার পল স্টার্লিং বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সামর্থ্য-সাহস আমাদের আছে। নিজেদের কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া অনেক শক্তিশালী দল। তবে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে যেকোন দলকে হারানোর রেকর্ড আমাদের আছে। এবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাই আমরা।’ এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে একবারই মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ড। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া দল : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, টিম ডেভিড, জশ হ্যাজেলউড, ক্যামেরুন গ্রিন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কেন রিচার্ডসন, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কুস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও এডাম জাম্পা।
আয়ারল্যান্ড দল : এন্ডি বলবির্নি (অধিনায়ক), মার্ক অ্যাইডার, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্রেথ ডেলেনি, জর্জ ডকরেল, স্টিফেন ডোহেনি, ফিওন হ্যান্ড, জস লিটল, ব্যারি ম্যাকার্থি, কনর ওলফার্ট, সিমি সিং, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার ও ক্রেইগ ইয়ং।