জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে সরকারের সেবার নামে অর্থ আদায় আর হয়রানী ছাড়া ফিরতে পারেন না কোন সেবা প্রত্যাশীরা। অফিসের ডাটা-এন্টি অপারেটরের চাহিদানুযায়ী অর্থ না দিলে সেবা প্রত্যাশীদের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলাসহ শারিরিক লাঞ্ছিত হতে হয়। এসব ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভূক্তভোগী।
সোমবার সকালে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের হারেজ শিকদারের ছেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোঃ লিমোন শিকদারের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, তিনি ২০১৯ সালে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। সম্প্রতি তার ভোটার রশিদ হারিয়ে গেলে রোববার দুপুরে ওই ভোটার রশিদ উত্তোলনের জন্য তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে যান। নির্বাচন অফিসের ডাটা-এন্টি অপারেটর এসএম ইমরান হোসেন কম্পিউটার থেকে পুণরায় তার রশিদটি প্রিন্ট করে কার্যালয়ের সীল দিয়ে পাঁচশ’ টাকা দাবী করেন। তার দাবীকৃত পাঁচশ’ টাকার পরিবর্তে লিমোন সরকারী ফি দেয়ার কথা বলায় কর্মচারী ইমরান উত্তেজিত হয়ে ওই রশিদটি ছিড়ে ফেলে দিয়ে লিমোনকে লাঞ্ছিত করে।
সূত্রমতে, অতিসম্প্রতি বাশাইল গ্রামের সেবা প্রত্যাশী সাবেক ইউপি সদস্য সিদ্দিক মৃধাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ রয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাটা-এন্টি অপারেটার এসএম ইমরান হোসেন অতিরিক্ত টাকা চাওয়া কথা আস্বীকার করে বলেন, লিমোনের ভোটার আইডি কার্ড প্রিন্টের জন্য তার কাছে পাঁচশ’ টাকা চাওয়া হয়েছিলো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর সেবা প্রত্যাশী লিমোন শিকদারের ভোটার স্লিপ প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে সেবার নামে হয়রানী আর নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত অপারেটর ইমরান হোসেন এবং নির্বাচন অফিসার সাইফুল ইসলামকে প্রাথমিকভাবে শ্বাসিয়ে দেয়া হয়েছে। পুর্ণরায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।