গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ডাকঘর ভেঙে জায়গা দখলে নিলেন ডাকপিয়ন ও নৈশপ্রহরী। উপজেলার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া ডাকঘর বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে ভেঙে দখলে নিলেন একই ডাকঘরের ডাকপিয়ন আবদুল কাদির ও ডুমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী শরিফুল আলম। তারা ডুমদিয়া গ্রামের মৃত মমতাজউদ্দিন মীরের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন মাষ্টারের স্ব-উদ্যোগে ডুমদিয়া বাজার চৌরাস্তা মোড়ে ডুমদিয়া ডাকঘর নামে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। দুই যুগ ধরে টিনশেড একটি ঘরে ডাক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাদির, আলম ও সহোদর যুবলীগ নেতা কালাম ডাকঘর ভেঙে জায়গা দখলে নেয় এবং ডাকবাক্সটি একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে রাখেন।
এ বিষয়ে ডাকপিয়ন আবদুল কাদির বলেন, ডাকঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঘরটি ব্যবহার করলেও জায়গাটা আমাদের ছিল এ কারণেই আমরা তিন ভাই ঘরটি ভেঙ্গেছি।
অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী শরিফুল আলম বলেন, এটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি ভেঙে পড়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানদেরকে জানালে তারা বলেছে, তোদের ঘর হলে তোরা সরিয়ে নে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতানউদ্দিন বলেন, তারা এই বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাদের বলেছি, এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, ঘর ভাঙ্গার আগে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করতে।
এ ব্যাপারে ডুমদিয়া ডাকঘরের পোষ্ট মাস্টার নাছরিন সুলতানা বলেন, ডাকঘর ভেঙে জায়গা দখল করে নেওয়ার ঘটনাটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।