শীতকালীন আগাম জাতের শিম চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শেরপুরের পাহাড়ি এলাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগাম শিমের ব্যাপক চাহিদা ও দাম চড়া থাকায় লাভবান হচ্ছেন। কৃষক ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন। কৃষকদের চাষ করা শিম বাগানের জমির আনাচে কানাচে শিমের লাল-সাদা ফুলে ভরে গেছে। থোকায় থোকায় পরিপুষ্ঠ শিমে ভরে গেছে গাছ।
সন্ধ্যাকুড়া এলাকার কৃষক আবদুল কাদির বলেন, দীর্ঘদিন গাজিপুরের পোশাক কারখানায় কাজ করেছি। বছর দুয়েক আগে বাড়িতে চলে আসি। এরপর থেকেই বাড়ির পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করি। চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে ২০ শতাংশ জমিতে শীতকালীন আগাম জাতের শিম কেরালা-১ চাষ করি। শিম চাষে শ্রমিক খরচ, সুতা, কীটনাশক, পানি, সারসহ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তাকে খরচ করতে হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য রাত দিন গাছের যতœ নিয়েছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাগানজুড়ে শিম গাছে ফুল এসেছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ১ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। এ অবস্থা চলমান থাকলে আর আবহাওয়া ভালো থাকলে বাগান থেকে আরও লাভ হবে বলে আশা করি। আমাকে দেখে এলাকায় অনেকেই শিম চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। এটা দেখে খুব ভালো লাগে।
ঝিনাইগাত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, এই উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর। তাই এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন ওইসব এলাকায় ব্যাপক সবজি চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আগাম জাতের শিম চাষ করে ভালো ফলন ও বাজারে চড়া মূল্য পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি।