পঞ্চগড়ের বোদায় হরিপদ দে একমাত্র আয়ের পথ মিষ্টির বাক্স তৈরি। হরিপদ দে সকাল হলেই মন্দিরের পাশে রঙ্গিন কাগজের টুকরো পানি মিশ্রিত ময়দা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তৈরি করেন মিষ্টির বাক্স। এতে তিনি ২০০ হতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। আর এই আয়ের উপর নির্ভর করেই চলে তার পুরো পরিবার। পান না তেমন কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা। হরিপদ দে এর বাড়ি উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের বড়-য়াপাড়া গ্রামে। বড়-য়াপাড়াটির বেশি ভাগই সনাতন ধর্মালমম্বীদের বসবাস। হরিপদ দের বাড়ির পাশে^ই মন্দির। এই মন্দিরে তারা পুজা-অচনা করে থাকেন। সরজমিনে মন্দিরের বারান্দায় মিষ্টির বাক্স তৈরি করা কালীন সময়ে কথা হয় তার সাথে, তাকে জিঙ্গাসা করা হয় কেমন আছে দাদা, ব্যবসা চলছে কেমন। প্রতি উত্তরে বলেন ভাল নেই। বর্তমানে জিনিস পত্রের যে দাম, আয়ের চেয়ে ব্যায় বেড়ে গেছে। আমি মিষ্টির বাক্স তৈরী করে যা আয় করি তা দিয়ে সরকার চলে না। বাড়িভিটা আর ১০ শতক আবাদি জমি ছাড়া আমার কোন সঞ্চয় নেই। আবাদি জমি ডোবা হওয়ার কারণে ৬ মাস আবাদ করতে পারি আর ৬ মাস আবাদ করতে পারি না। ১টি আবাদ দিয়ে সারা বছর চলতে হয়। আমার স্ত্রী ও ১ সন্তান নিয়ে বরই দুশ্চিন্তায় আছি। এ ব্যাপারে ঝলইশালশিরি ইউ’পি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, হরিপদ দে কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি ও জানি। তিনি সাহাযো সহযোগিতার জন্য তেমন ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না। তাকে ইউনিয়ন পরিষদের যে সাহায্য সহযোগিতার সুবিধা রয়েছে আগামী তা দেওয়ার চেষ্টা করবো।