প্রত্যেক বছর পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে বাজার মন্দা গেলেও মৌসুমের শেষ সময়ে বাজার বেশ বৃদ্ধি পায়। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা হলেও লাভ হয়। কিন্তু এবছর মৌসুম শেষ হয়ে আবার আগাম আবাদ করা মূল কাটা পেঁয়াজ হাট-বাজারে উঠার সময় হয়ে গেলেও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে পেঁয়াজের বাজার বাড়েনি। বরং শেষ মুহূর্তেও পেঁয়াজের বাজারে ধ্বস নামছে। এতে পেঁয়াজ আবাদ করে কৃষকের লাভের যে স্বপ্ন সেটি ভঙ্গ হয়ে গেছে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পেঁয়াজ চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন এবছর প্রতিমণ পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ এবং শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। অথচ বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিমণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লোকসান হচ্ছে। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামান বলেন প্রত্যেক বছর পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে প্রতিমণ পেঁয়াজ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও মৌসুমের শেষ দিকে প্রতিমণ পেঁয়াজ ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ এর চেয়ে কিছুটা হলেও লাভ হয়। কিন্তু এবছর মৌসুমের শুরু থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাজার তেমন বৃদ্ধি পায়নি। বরং দফায় দফায় বাজারে ধ্বস নেমেছে। ফলে এ অবস্থায় উপজেলার কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদের আগ্রহ হারাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন হাট-বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। সে কারণে দাম বাড়ছেনা।