গাজীপুরের টঙ্গীতে পাত্রীপক্ষের চাহিদাপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পাত্র নাহিদুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাত্রীপক্ষের কাবিনের ১০লাখ টাকা ওয়াসিল, মেয়ের নামে টঙ্গীতে চার কাঠা জায়গা ও আটতলা বাড়ি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ মামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টঙ্গী বড় দেওড়া ফকির মার্কেট মৃধাপাড়া এলাকায়।
নাহিদুল ইসলাম সজীবের পিতা কুদরত মৃধা আক্ষেপের সাথে জানান, আল-আমিন দর্জি পরিবার পরিজন নিয়ে গত প্রায় চার বছর যাবত তার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছেন। এই সুবাদে আল আমিন-মনি বেগম দম্পত্তির মেয়ের সাথে তার একমাত্র ছেলে ডিশ ব্যবসায়ী নাহিদুল ইসলাম সজীবের পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে উঠে। তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়ার একপর্যায়ে ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালতে স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে বিবাহের হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং সমাজে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। নববধূকে শুশুড়ালয়ে উঠিয়ে নেয়ার সময় এগিয়ে এলে পাত্রীপক্ষের লোকজন তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মেয়েকে কাবিনের ১০ লাখ টাকা ওয়াসিল, টঙ্গীতে চার কাঠা জমি ও আটতলা বাড়ি লিখে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে নাহিদের পিতা-মাতা রাজি না হওয়ায় পাত্রীর পিতা আল-আমিন ও মনি বেগম বিয়েতে বাঁধ সাধেন। একপর্যায়ে সুকৌশলে পাত্র নাহিদের নামে ধর্ষণ মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
এব্যাপারে মেয়ের বাবা আল আমিন দর্জি বলেন, কোর্ট ম্যারিজ এসব ভুয়া। আমার মেয়েকে ওই ছেলে ও তার মা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমার মেয়েকে কোচিং করতে যাওয়ার সময় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখেছে। তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই রাগ, ক্ষোভ ও ঘৃণায় আমার মেয়ে দুইবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছে।