বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন জয়পুরহাট রেলস্টেশনে তাড়াহুড়া করে নামার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে সে নিহিত হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম রাহুল হোসেন (২৩)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর এলাকার কালীপাড়া মহল্লার মৃত শাহরিয়ার রইচের ছেলে। রাহুল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাহুল হোসেন খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটগামী আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে জয়পুরহাটে আসছিলেন। ট্রেনটি শুক্রবার ভোর চারটায় জয়পুরহাট রেলস্টেশনে পৌঁছায়। তবে রাহুল ঘুমের ঘোরে টের পাননি। যখন ট্রেনটি ছেড়ে দেয় তখন রাহুল টের পেয়ে তাড়াহুড়া করে নামার সময় ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। ট্রেনটি প্লাটফর্ম অতিক্রম করার পর তাঁর ট্রেনে কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। লাশের সঙ্গে একটি কাপড়ের ব্যাগ ও মুঠোফোন পড়ে ছিল। ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে পরিবারে খবর দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল পরিবারের সদস্যরা জয়পুরহাট রেলস্টেশনে এসে লাশটি রাহুল হোসেনের বলে শনাক্ত করেন। রাহুল হোসেনের চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, রাহুল মা-বাবার একমাত্র ছেলে। ছুটি নিয়ে রাহুল বাড়িতে আসছিলেন।
এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল জয়পুরহাট রেলস্টেশন থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হবে।