বগুড়ার আদমদীঘিতে শীতের আগমনে লেপ, তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই পেশার কারিগররা। শীতকে সামনে রেখে অনেকে পুরোনো শীত বস্ত্র ঠিক করে নিচ্ছে। আবার অনেকে নতুন করে লেপ, তোষক তৈরী করে নিচ্ছে। পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তহার সহ সমগ্র উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তা লক্ষ করা যাচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের নিন্ম আয়ের মানুষের শীত নিবারনের প্রধান অবলম্বন কাঁথা। অনেক পরিবারের নারী সদস্যরা এখন পরিবারের কাজের ফাঁকে কাঁথা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলার সদর ও সান্তাহার স্টেশন রোডের পাশে লেপ তোষক কারিগররা এখন ব্যস্ত লেপ তোষক তৈরীর কাজে।
উপজেলা সদরের লেপ তোষক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, পৈত্রিক সূত্রে তার এই ব্যবসায় আসা। শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভাল হয়। সাধারণত কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বছরের এই সময় টুকু বাদ দিলে বাকী সময় অলস সময় পারকরতে হয়ে তাদের। সাগর ও মাজেদুর নামের কারিগর জানান, সাধারণত তিন ধরণের পদ্ধতিতে তারা লেপ তৈরি করে থাকেন। কার্পাস তুলার লেপ তোষক, গার্মেন্টসকালার তুলার লেপ ও গার্মেন্টস নরমাল তুলার লেপ। একটি উন্নত মানের কভার সহ লেপ তৈরির মূল্য ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। মাঝারী মানের লেপ তৈরীতে খরচ পড়বে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। পাইকারী ও খুচরা ভাবেও লেপ তোষক বিক্রি হয়। একটি বড় সাইজের লেপ তৈরী করতে চার থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। লেপ তৈরী ছাড়াও তাজিম, তোষক, বালিশ, গদি তৈরী করেন এই কারিগররা আরও জানান, মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা তাদের খদ্দের। আধুনিক কম্বল প্রচলন হলেও তাদের খদ্দের যেহেতু সমাজের বড় অংশ তাই তাদের ব্যবসা নিয়ে শংকিত নয়।