বার্সেলোনার ২০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আনসু ফাতিকে দলে রেখে বিশ্বকাপের জন্য স্প্যানিশ দল ঘোষনা করেছেন কোচ লুইস এনরিকে। তবে এই দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের। সেপ্টেম্বরে নেশন্স লিগের ম্যাচে ফাতিকে মাঠে নামাননি এনরিকে। ক্লাবের হয়ে এবারের মৌসুতে এবার নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না ফাতি। এ পর্যন্ত স্পেনের জার্সি গায়ে চার ম্যাচে এক গোল করেছেন ফাতি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে গত দুই বছর যাবত প্রায় বেশীরভাগ সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। পিএসজির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রামোসকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। দল নির্বাচন প্রসঙ্গে এনরিকে বলেছেন, ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফাতিকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। এমনকি তাকে নিয়ে আমরা বাজিও ধরেছিলাম। ফুটবলে আনসুর মান নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু ইনজুরির কারণে তাকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাকে দলে পেয়ে আমি দারুন খুশী। দেখা যাক বিশ্বকাপে তাকে আমরা কতটুকু ব্যবহার করতে পারি।’ ৩৬ বছর বয়সী রামোস স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮০টি ম্যাচ খেলেছেন। ক্লাবের হয়ে এবারের মৌসুমে ফিট ও ফর্মহীনতায় ভুগছেন রামোস। তার পরিবর্তে ভ্যালেন্সিয়ার বৈচিত্রময় ডিফেন্ডার হুগো গুইলামোন মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেও কাতার বিশ্বকাপে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন। তার সাথে আরো রয়েছেন ২০২১ সালে স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়া ম্যানচেস্টার সিটি অমারিক লাপোর্তে। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য সার্জিও বাসকুয়েটস ও আরেক অভিজ্ঞ জর্ডি আলবার সাথে বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড়কে দলভূক্ত করেছেন এনরিকে। ফাতি ও গুইলামোনের পাশাপাশি এই দলে আছেন এ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের ফরোয়ার্ড নিকো উইলিয়ামসও ভিয়ারিয়ালের উইঙ্গার ইয়েরেমি পিনো। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের দলে না ডেকে অতীতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ এনরিকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ দলে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের দানি কারভাহাল ও মার্কো আসেনসিও। কাতার বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন লিভারপুলের থিয়াগো আলচানতারা, রিয়াল বেটিসের স্ট্রাইকার বোয়া ইগলেসিয়াস ও বার্সেলোনার মার্কোস আলনসো। এই তালিকায় সাতজন রয়েছেন বার্সেলোনা, যার মধ্যে তরুণ মিডফিল্ডার পেড্রি গঞ্জালেজ ও গাভি অন্যতম। এনরিকে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি দল নির্বাচনের সময় আমি কখনই দেখি না খেলোয়াড়টি কোন ক্লাব থেকে এসেছে। ক্লাব দলের উপর নির্ভর করে আমি জাতীয় দল গঠন করিনা। আমি বিশ্বাস করি দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কোন একটি ক্লাবের খেলোয়াড় সংখ্যার উপর আমি জোড় দেইনা। এখানে বয়সও কোন বিষয় নয়। জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতার ভিত্তিতেই দল গঠন করার চেষ্টা করি।’ আগামী ২৩ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্পেনের প্রতিপক্ষ কোস্টা রিকা। এরপর গ্রুপণ্ডই’তে পরের দুটি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে জার্মানী ও জাপান।
স্পেন স্কোয়াড :
গোলরক্ষক : উনাই সাইমন, রবার্ট সানচেজ, ডেভিড রায়া
ডিফেন্ডার : হোসে গায়া, জর্ডি আলবা, এরিক গার্সিয়া, অমারিক লাপোর্তে, পও তোরেস, হুগো গুইলামন, সিজার আজপিলিকুয়েটা, ডানি কারভাহাল
মিডফিল্ডার : রোড্রি, কোকে, মার্কোস লোরেন্টে, সার্জিও বাসকুয়েটস, গাভি, পেড্রি গঞ্জালেজ, কার্লোস সোলার
ফরোয়ার্ড : ডানি ওলমো, পাবলো সারাবিয়া, আলভারো মোরাতা, আনসু ফাতি, ফেরাস তোরেস, মার্কো আসেনসিও, নিকো উইলিয়ামস, ইয়েরেমি পিনো।