ছাতক-সিলেট রেল লাইন সংস্কার ও পুনঃ সচলের লক্ষ্যে সরজমিন পরিদর্শনে ছাতকে আসেন রেল ও এডিবি’র প্রতিনিধি দল। ছাতক-সিলেট রেল লাইন আধুনিকায়ন করার গৃহীত পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসের মধ্যে ছাতক-সিলেট রেল লাইনের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিনিধি দলের প্রধান সিলেট-শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইনের দায়িত্বে থাকা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন। রোববার সন্ধ্যায় ছাতক বাজার রেলওয়ে ষ্টেশনে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময়কালে ছাতক-সিলেট রেল লাইন পুনরায় চালু করার বিষয়ে এসব সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। এর আগে ছাতক-সিলেট রেল লাইনের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ছাতক-আফজলাবাদ অংশ পরিদর্শন করেন। মতবিনিময়কালে তিনি মুঠোফোনে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সাথেও এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন বলেন, সিলেট-ছাতক রেল লাইনের মধ্যে বন্যায় অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে ছাতক-আফজলাবাদ ১২কিলোমিটার, আংশিক ক্ষতি হয়েছে আফজলাবাদ থেকে খাজাঞ্চি পর্যন্ত আরো ১২ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই ২২ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিলেট-ছাতক রেল লাইনকে আধুনিকায়ন এবং সুনামগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিতশরনে ২শ’ ১২ কোটি টাকার নুতন প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। মতবিনিময়কালে উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাতক রেল এর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পর্যাপ্ত রাজস্ব সরকারী কোষাগারে জমা হওয়ার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ছাতক থেকে দোয়ারা বাজার হয়ে সুনামগঞ্জ মোহন গন্জ রেল লাইন স্হাপনে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ ভোলাগন্জ- ছাতক পরিত্যক্ত রোপওয়েকে ক্যাবল কার স্হাপনের মাধ্যমে পর্যটন খাতে নিয়ে আসারও দাবী জানান। পরে বন্ধ থাকা দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় কংক্রিট শ্লীপার কারখানা পরিদর্শন করে কারখানাটি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের কথা প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা। সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন আরো জানান, কংক্রিট স্লিপার কারখানায় ১৫ হাজার স্লিপার তৈরির ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। এ সময় রেলওয়ের সম্পদ রক্ষনাবেক্ষনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধি দলের অন্যান্যরা হলেন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী জুয়েল হোসেন, ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী জুলহাস মাহমুদ, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ছাতক জুবায়ের আহমদ সর্দার, এডিবি’র কনসালটেন্ট রাকিবুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল ওয়াহিদ মজনু, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন-অর রশীদ, পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন, আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন, ব্যবসায়ী নুরু মিয়া তালুকদার, ছাতক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক শামছু মিয়া প্রমূখ। এ সময় সাংস্কৃতিক সংগঠক তপন তরফদার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আওয়াল, ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুল আলিম, অর্থ সম্পাদক বিজয় রায়, ছাতক ডিড রাইটার সমিতির সেক্রেটারী রঞ্জন কুমার দাস, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম আজির, ডিড রাইটার সাহাব উদ্দিন, রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুন নূর, ছাতক রেলওয়ের মহাব্বত আলী, শওকত আলী, সুহেল আহমদ, আরিফ আহমদ, আবু বক্কর সিদ্দীক, দিলোয়ার হোসেন সহ স্থানীয়লোকজন উপস্থিত ছিলেন।