জামালপুরের ইসলামপুরে পল্লী জনকল্যাণ সংস্থা নামে একটি ভূয়া এনজিও ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, পল্লী জনকল্যাণ সংস্থা নামে একটি এনজিও সম্প্রতি ইসলামপুর উপজেলা শহরে পাটনিপাড়া মোড়ে ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে ঋণ দেয়ার নামে জামানত আদায় শুরু করে। জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও মেলান্দহ সহ বিভিন্ন উপজেলায় কাপড়ের ব্যবসা,মনোহারী দোকান,গরু খামার, মুরগী খামার, প্রবাসী ঋণ দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ঋণ বিতররণের সময় দিন তারিখ ঘনিয়ে আসলে অফিস ফেলে গত ১৭ নভেম্বর (বুধবার)রাত থেকে উধাও হয়েছে সংস্থার লোকজন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল শত-শত গ্রাহক ঋণ নিতে এসে ভবনটির সামনে ভীর করতে থাকে কিন্তু অফিসে কোন লোকজন খোঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভবন মালিক লিটন মিয়া জানান, বুধবার রাত থেকে তাদের আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে আমি ইসলামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
খোঁজ নিয়ে দেখাযায়, পল্লী জনকল্যাণ সংস্থা নামে এনজিও তাদের সঞ্চয় ও ঋনদান পাশ বইতে নিউ গুলশান, পূর্বাচল মডেল টাউন, ঢাকা-১২০০। এই ঠিকানা প্রধান কার্যালয় উল্লেখ করা হয়েছে তা’ সম্পুর্ণ ভূয়া ও মিথ্যা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঐ ভুয়া এনজিও কর্মকর্তা এক প্রতারক চক্রের সদস্য। তাদের আসল ঠিকানা হচ্ছে নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানার বামন্দী ইউনিয়নের লস্করদী গ্রামে বাসিন্দা রহমত উল্লাহ ছেলে প্রতারক মোবারক হোসেন এবং একই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল্লাহ ছেলে আল মামুন। এ ছাড়া শফিক নামে এই চক্রের আরও এক সদস্য রয়েছে। যারা দীর্ঘ দিন ধরে ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।এদিকে ভূয়া এনজিও পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে হাজারও ভূক্তভোগি গ্রাহক বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ক্রমশই ভীর জমাচ্ছে।অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
এ ব্যপারে ইসলামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান মাজেদ জানান, পুলিশ ঘটনা পরিদর্শন করেছে। ভোক্তাভোগীদের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।