রংপুরের পীরগঞ্জে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের ৫ লাখ টাকা মুল্যের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মিঠিপুরর ইউনিয়নের ওশনপুর গ্রামের মতিয়ার সরকারের ছেলে আবদুল মমিন সরকার ও তার ভাই সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুমনের বিরদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ ওই অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে,গত ১৮ নভেম্বর সকালে সরকারি ছুটির দিনে উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের নয়ামাদারগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে কেউ না থাকার সুযোগে গোপনে মমিন সরকার ও তার ভাই সুমন যৌথভাবে প্রায় ৫ লাখ টাকা মুল্যের শতাধিক ইউক্যালিপ্টাস ও জামগাছ কর্তন করে। এ সময় এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জন কর্মচারী ঘটনা স্থলে গিয়ে গাছ কর্তনে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের উপস্থিতিতে গাছ কর্তন বন্ধ রাখা হলেও ওই দুই কর্মচারী চলে আসার পর সুযোগে গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মারুফা, শাহানুর, আমিন, মমিন ও মামুন বলেন, আমরা জানি গাছগুলি সরকারিভাবে নয়ামাদারগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের সীমানায় লাগানো হয়েছে। গাছগুলি বেড়ে উঠায় প্রকৃতির ছায়াতলে ক্লিনিকের সৌন্দর্য বেড়ে গেছে। আমরা ক্লিনিকে ওষুধ নিতে আসলে এই গাছগুলোর ছায়ায় বিশ্রাম নেই। কিন্তু হঠাৎ দেখি গাছগুলো কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের করা দরকার। ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাসুদুর রহমান বলেন,এই ক্লিনিকের ৬১শতক জমির মধ্যে গাছগুলো রোপন করাছিলো। সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় আমরা ক্লিনিকে না থাকায় আবদুল মমিন সরকার, সুমন সরকার, মশিউর আকন্দসহ তাদের লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতঅভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমিন ও সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ক্লিনিকের ৬১শতক জমি আমার দাদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দলিল করে দেয়। সেই দলিলে লেখা ছিলো সরকারি স্থাপনা তৈরী না করা পর্যন্ত আমরা ভোগদখল করতে পারবো এই শর্তে আমরা গাছগুলো কর্তন করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাদিকাতুল তাহেরিণ বলেন, নয় মাদারগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের গাছকতর্নের খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে দু’জন কর্মকর্তাকে পাঠাই, সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি,শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে উদ্ধর্তন কতৃর্পক্ষকে অবগত করতে না পারায় গতকাল রোববার চিঠি প্রেরণ করেছি।