বগুড়া সারিয়াকান্দিতে উপজেলা পরিষদের শতবর্ষী ৮ টি বনজ গাছ কেটে ভাগ বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার পৌর এলাকার ধাপ গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরকারের ছেলে নুরুল ইসলাম মিঠু। তিনি পৌর স্বেচ্ছোসবকলীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগের অনুলিপি বগুড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, সারিয়াকান্দি বন কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপজেলার সকল গণমাধ্যম কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযোগকারী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ২ সপ্তাহ পূর্বে উপজেলার পৌর এলাকার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সীমানা ঘেষে উপজেলা মডেল মসজিদ হয়ে বাঁধে বদি কমিশনারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক বের করা হয়েছে। সড়কটির নাম করণ করা হয়েছে আবদুল মান্নান এম.পি সড়ক। এই রাস্তার ধারে ছিলো শতবর্ষী বিভিন্ন ধরনের বনজ গাছ। এর মধ্যে ৪টি মেহগনি, ৩টি ইউকেলিপ্টাস ও ১টি ফলবান আমগাছ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সড়ক সংস্কারের নামে গাছগুলো কেটে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন সারিয়াকান্দি পৌরসভার মতিউর রহমান মতি, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ আলম, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার বজলার রহমান ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান শাহিনুর বেগম। প্রায় ১৫ দিন আগে উপজেলার নির্বাহী অফিসারের অসুস্থতার কারণে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা সুযোগে তারা ওই গাছগুলা তরিঘরি করে কেটে নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নেনে। পরে তারা গাছগুলো কেউ বা নিজ-নিজ বাড়ি আবার কেউ গাছ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী মিঠু বলেন, সরকারি কোন টেন্ডার ছাড়াই কিভাবে শতবর্ষী গাছগুলো দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা কেটে নিলো তাতে এলাকাবাসী হতবাক। মিঠু আরো বলেন, শুনলাম অভিযোগ পাওয়ার পর তরিঘরি করে ইউএন.ও সাহেব গাছগুলো এখন নিলামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু গাছগুলোতো এখন তার হাতের নাগালের বাহিরে। তিনি কিভাবে কেটে নেওয়া গাছগুলো নিলামে তুলবেন তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।এটি নিলামের নামে সকলের সাথে প্রহসন মাত্র। আমি এ ঘটনায় দ্রুত ঊধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা এবং তাদের শাস্তির দাবী করছি। সারিয়াকান্দির বন প্রহরী মো: মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের গাছগুলো আমাদের নয়। তারা কিভাবে কেটে নিলো তারাই ভালো বলতে পারবেন।
পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার বজলার রহমান জানান, আমি উপজেলা পরিষদের গাছ কর্তনের সাথে জড়িত নই। মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা এবং বানোয়াট। অবৈধভাবে গাছ কর্তনের বিষয়টি সঠিক না। সেখানে ডিগ্রি কলেজের কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে যা কলেজের মাধ্যমে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিষয় সেখানে পৌরসভার কোন হস্তক্ষেপ নেই।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, অবৈধভাবে সরকারী সম্পদ খাওয়ার সাধ্য কারো নেই। গাছগুলো কেটেছে আমি শুনেছি, তবে বাড়িত থেকে টেনে হেছড়ে বেড় করে এনে তা নিলামে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই নিলামে তোলা হবে।