চট্টগ্রামের রাউজানে রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরীর বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতদল পাকা ভবনের পিছনের জানালার লোহার গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল,বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মূল্য মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ভিকটিম মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরী (৩৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাং-সুলতান পাড়া, ছত্রপাড়া, হাজী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বাড়ি, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম। রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭৭। তারিখ ৯ নভেম্বর ২০২২ খৃষ্টাব্দ। ধারা ৪৫৭/৩৮০, পেনাল কোড ১৮৬০।
চট্টগ্রামের ্র্যাব - ৭ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গত ২৮ অক্টোবর দিবগত রাতে প্রবাসী মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরী বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ পিতাকে রেখে বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে তাঁর এক নিকট আত্মীয়ের বিয়েতে যায় পরিবারের লোকজন নিয়ে। ঘরের লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরের পিছনের জানালার লোহার গ্রীল কেটে ভিতরে ঢুকে তাঁর বৃদ্ধ পিতাকে ডাকাতদলের সদস্য মোঃ মুছা নামে এক ব্যক্তি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যরা আলমারীতে রক্ষিত মোট ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার মামাতো বোনের বিবাহের জন্য ঘরে রাখা নগদ ৫ লক্ষ টাকা,৫টি মোবাইল এবং ১টি স্যামসাং ব্রান্ডের ট্যাব লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনা মোহাম্মদ সরোয়ার চৌধুরী অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ওই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে গত ২১ নভেম্বর বিকালে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন দক্ষিণ গহিরা শীবেরঘাট এলাকার একটি বাসা বাড়ি হতে আসামি মুসা কে গ্রেপ্তার করে তার হেফাজত হতে ডাকাতি হওয়া নগদ৫ লক্ষ টাকা এবং ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকাসহ সর্বমোট-৬ লাখ ৯৯ হাজার-টাকা উদ্ধার করার হয়। ডাকাত দলের সদস্য ধৃত আসামি মুসার দেয়ার তথ্য মতে ডাকাত দলের সদস্য সাইদুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুল কে একই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরার উত্তর-পূর্ব কোতোয়ালী ঘোনা দলই নগরস্থ একটি বাড়ি হতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যমতে রাউজান ও হাটহাজারী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্য যথাক্রমে খোরশেদুল আলম (২৮), সাজ্জাদ হোসেন (২৭), মোঃ বাপ্পি (২৬), সজল শীল (২৭), মোঃ ইদ্রিস প্রকাশ কাজল (৩৪)’দে কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহার্য গ্রিল কাঁটার, ছোরা, টর্চ লাইটসহ ডাকাতি হওয়া বিভিন্ন ধরণের সর্বমোট ৪৬ ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েন এবং ডাকাতি হওয়া স্বর্ণের বিক্রয়লব্দ মোট ৩০ লক্ষ১ হাজার ৬শ টাকা উদ্ধার ও ডাকাতি মালামাল ক্রয়কারী বিপ্লব চন্দ্র সাহা(৩৮) কে তার জুয়েলার্সের দোকান হতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিস স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা উল্লিখিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।