মুলাদীতে পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় ১০জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের মধ্যগাছুয়া গ্রামের মেছের সরদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খালার পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় বোনের ছেলে সাব্বির ও তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০জনকে আহত করেছে। সাব্বির গাছুয়া ইউনিয়নের ডুমুরীতলা গ্রামের ছত্তার মাস্টারের ছেলে। মামলার সূত্রে জানা গেছে, মধ্যগাছুয়া গ্রামের জনৈক বিধবা নারীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পৈক্ষা গ্রামের রাজ্জাক ওরফে সিডু বেপারীর ছেলে রিপন বেপারীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিপন বেপারী প্রায়ই ওই নারীর ঘরে যাওয়া আসা করতো। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রিপন বেপারী ওই নারীর ঘরে যায়। টের পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে রিপনকে আটক করে ইউপি সদস্য (মেম্বার) জাকির মাতুব্বরকে সংবাদ দেন। ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছতে বিলম্ব করার সুযোগে বিধবা নারী মোবাইল ফোনে তার বোনের ছেলে সাব্বির ও তাঁর সহযোগীদের আসতে বলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাব্বির ও তাঁর সহযোগীরা মেছের সরদারের বাড়িতে যায়। সেখানে মেছের সরদারের ছেলে রফিক কে জিজ্ঞাসা করেই ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। ওই সময় স্থানীয়রা রফিককে বাঁচাতে গেলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে সাব্বির ও তার সহযোগীরা। এতে রফিক, তাঁর ভাই মনির হোসেন, বাবুল সরদারের ছেলে রনিসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাতেই মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সবাইকে কুপিয়ে সাব্বির পার্শ্ববর্তী সৈয়দেরগাঁও গ্রামের একটি বাড়িতে গিয়ে পানি চায়। তাঁর গায়ে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজন বসিয়ে রেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে সংবাদ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান লোক পাঠিয়ে সাব্বিরকে পরিষদে নিয়ে যান। সংবাদ পেয়ে মুলাদী থানা পুলিশ সাব্বির এবং রিপন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় আহত রফিকের স্ত্রী সাহিদা বেগম বাদী হয়ে সাব্বিরসহ ৬জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সাব্বির ও রিপনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় সাব্বির হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। মামলার তদন্ত করা হচ্ছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।