ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভূক্তভোগী পরিবার। পরিবারটি বৃহস্পতিবার সকালে নিজবাড়ির সামনে এ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে পৌরশহরের চন্দনসার গ্রামের আরাফাত আলম ভূঁইয়া বলেন আখাউড়া -লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে আমার বাসস্থান অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি আমি আমার ক্ষতিপূরণ পাইনি। যে কারণে গত ৮ নভেম্বর আমি হাইকোর্টে রিট করি। গত ২৩ নভেম্বর বিকালে আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয় আমার বাসস্থান উচ্ছেদ করা হবে। যা একেবারেই বেআইনী ও অমানবিক। আমি এর সুবিচার কামনা করছি।
এদিকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায় বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালায় রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। এ সময় তিনটি পাকা স্থাপনা বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। বেলা ১১ টায় এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানকালে আখাউড়া উপজেলা সহকারিকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে কাননগোসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সহকারি কামিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথের আখাউড়া -লাকসাম রেলপথে ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু আখাউড়া রেল জংশন এলাকায় রেলওয়ের লিজকৃত জায়গা উচ্ছেদের নির্দেশনার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ নিয়েও রেলওয়ের জায়গা ছাড়ছে না লিজ গ্রহীতারা। রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাকাবাড়ি, আধা পাকা,দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়নে এটি আমাদের নিয়মিত অভিযান। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।