বগুড়ার শেরপুরের কানাইকন্দর গ্রামের নবাব আলীর কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার লাউ বাগানের গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বগুড়ায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কানাইকন্দর গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে নবাব আলী ওই এলাকার আমেনা বিবির কাছ থেকে বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে ৭১৪৮ নং কোবলামূলে ৪ শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে রেজাউল করিম আকন্দের কাছ থেকে ১৮ শতক জায়গা ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিল। এমতাবস্থায় একই গ্রামের মৃত ছোবহানের ছেলে আলতাব আলী(৫২), মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আশরাফ আলী(৪৮), রসুল মিয়(৫০), মৃত কাছার উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের(৬০), আবদুল গফুরের ছেলে শাহআলম(৩৫), নুরনবী (৩২) ও গাবতলী উপজেলার নশিপুর বালুর মাঠ গ্রামের মৃত ছোবহানের ছেলে আবদুস সামাদ(৫৫) নবাব আলীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে উচ্ছেদ করার হুমকি ধামকি প্রদান করে। এরই একপর্যায়ে গত ৮ নভেম্বর রাতে উল্লিখিত ব্যক্তিসহ আরো কয়েকজন আবারো নবাব আলীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তার লাউ বাগানের সবকটি গাছ কেটে দেয়। এবং তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নবাব আলী বাদি হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর বেশ কয়েকদিন অতিহাবিত হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বগুড়ায় মামলা দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।