‘এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে। সবাই যেন সতর্ক থাকি। ডাকাত মোকাবেলা করতে আমরা যেন সবাই প্রস্তুত থাকি।’ রোববার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ ধরনের নানা কথা বলে জেলার গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।
দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী গৌরনদীর টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদার বলেন, হঠাৎ করে মসজিদের মাইকে এ ধরনের ঘোষণা শুনে আমরা ঘুম থেকে উঠে এলাকার মানুষজন একত্র হয়ে ডাকাত ধরার প্রস্তুতি নিয়েছি। পরে শুনি, এটা নেহাত একটা গুজব। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সময়ে টরকী বন্দরে গণডাকাতিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি সংঘঠিত হওয়ার পর এমনিতেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারমধ্যে মসজিদের মাইকে এ ঘোষণার পর ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গৌরনদীর ভূরঘাটা, খাঞ্জাপুর, ইল্লা, বার্থী, কটকস্থল, সাউদেরখালপাড়, নীলখোলা ও টরকী বন্দর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশের প্রচার করার পর রাতভর আতঙ্কিত ছিলো ওইসব এলাকার মানুষ। তবে কোনো এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ। মাদারীপুর থেকে এই গুজবের শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, ডাকাত পরার খবর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়ার পর অনেকেই মধ্যরাতে স্বজনদের ফোন দিয়ে সতর্ক করেছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে পোস্ট করেছেন। আবার কেউ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এলাকায় ডাকাত দলের প্রবেশের ঘোষণা বিভিন্ন মসজিদ থেকে দেওয়া হয়েছে। এটা মূলত মাদারীপুর এলাকা থেকে শুরু হয়েছে, তবে কোথাও কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি ¯্রফে গুজব হলেও উপজেলার গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট থেকে শুরু করে পুরো উপজেলায় থানা পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম প্রতিদিনের ন্যায় টহল দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে গৌরনদীতে সংঘঠিত কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় প্রায় ১৮ জন ডাকাতকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।