বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ৯লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই গ্রামের গণি জোমাদ্দারের ছেলে লিটন জোমাদ্দার ও তার ভাইয়েরা সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলামের স্ত্রী রেশমী আক্তার কাছে এই চাঁদা দাবি করেন। তাদের চাঁদা দাবি ও অব্যাহত হুমকিতে ওই প্রবাসীর স্ত্রী তার দুই সন্তান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে প্রায় ৮ মাস ধরে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন রেশমী আক্তার।
রেশমী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ২০১৮ সালে প্রতিবেশী লিটন জোমাদ্দারের ছেলে রনি জমাদ্দারকে পাঁচ লাখ টাকা চুক্তিতে সৌদি নিয়ে যান। এর মধ্যে তিন লাখ টাকা নগদ এবং বাকি দুই লাখ টাকা সৌদি গিয়ে কাজ করে পরিশোধ করেন। সৌদি যাওয়ার পর দুইদফা আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) করিয়ে দেন আমার স্বামী। কিন্তু পরবর্তীতে আকামা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে রনির বাবা লিটন জমাদ্দারসহ তার তিন চাচা মন্টু জমাদ্দার, সারোয়ার জমাদ্দার ও ছগির জমাদ্দার হঠাৎ করে আমাদের কাছে ৯লাখ টাকা পাবেন বলে দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের ভয়ে ৮ মাস আগে আমি বাড়ি ছেড়ে দুই সন্তার নিয়ে তাফালবাড়ী বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হই। তাদের হুমকিতে আমি ও আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি।
রেশমী আক্তার আরো বলেন, রনি জমাদ্দার সৌদি থেকে চার বছর দুই মাস থাকার পর এবছরের (২০২২) ২৬ নভেম্বর দেশে ফিরে আসে। এসেই আবার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দিলে আমাদের বাড়ি ও চাষের জমি দখল করে নেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে আমার দেবর রবিউলকে তারা মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় বুধবার (৩০নভেম্বর) রাতে শরণখোলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষ লিটন জোমাদ্দারের কাছে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রেশমীর স্বামী কামরুল ইসলাম ৯লাখ টাকার বিনিময় আমার ছেলে রনিকে সৌদি নেয়। সেখানে নিয়ে আকামা না দিয়ে অবৈধভাবে ৪ বছর রাখার পর দেশে পাঠিয়ে দেয়। আমি আমার পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়াকে এখন তারা চাঁদা বলছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী রেশমী আক্তার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।