ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সড়কে জিপি উত্তোলনকে কেন্দ্র দুই গ্রামবাসির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে শীতল মিয়া (৫৫) নামে একজন নিহত ও দু-পক্ষের ১৫ থেকে ২০জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ছয়টি ঘরে আগুন দিয়েছে। অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মুক্তারামপুর-ধরাভাঙ্গা সড়কে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকআপ থেকে জিপি উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে মুক্তারামপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার সাথে ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার ধরাভাঙ্গা গ্রামের বড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়ার ছেলে মানিক ও খোকন মিয়াকে মারধর করে। এ খবর ধরাভাঙ্গা গ্রামের ছড়িয়ে পড়লে ধরাভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুক্তারামপুর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় মুক্তারামপুর গ্রামের মৃত কানু মিয়ার ছেলে শীতল মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যায়। এ সময় হামলাকারীরা মুক্তারামপুর গ্রামের ছয়টি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। সংঘর্ষে দু গ্রামের ১৫/২০ জন আহত হয়েছেন। নবীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গ্রেপ্তার কিংবা মামলা হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই সংঘর্ষে হামলাকারীরা পিস্তলের গুলিও ছুড়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ওই সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নরসিংদী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত চলছে। গুলি করার বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।