এর এই দিনে পাকসেনারা এ জেলায় পঞ্চম দফায় পরাজিত হলে জামালপুর সদর শত্রুমুক্ত হয়। ৮ডিসেম্বর বিকালে মিত্র বাহিনীর নিদ্দেশে মুক্তিযুদ্ধের বদি কোম্পানী, আলম কোম্পানী,জালাল কোম্পানী,ইউসুফ কোম্পনীসহ বেশ কিছু কোম্পানি একত্র হয়ে জামালপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে মৃতঞ্জয়ী খেতাব প্রাপ্ত বীর প্রতীক মুন্সি জহুরুল হক তিনি জীবন বাজি রেখে আত্মসমাপন পত্র নিয়ে জামালপুর প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনন্টিটিউট(পিটিআই) পাকসেনা ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে কর্নেল সুলতান খান এর কাছে চিঠি পৌছান। চিঠি পেয়ে সুলতান খান তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন এব মুক্তিযুদ্ধের দূত বীর প্রতীক মুন্সি জহুরুল হককে শাররীক নির্যাতন চালিয়ে শরীরে টাইম বোমা বেধে ব্রম্মপুত্র নদের পাড়ে ফেলে দেয় পাকসেনারা।
খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনী ও মিতবাহিনীর সদসরা তুমুল আক্রমণ শুরু করে। চলতে থাকে দিন রাত গুলি বিনিময় ভারতীয় বোমারু বিমানে মুহুমুহু বোমা বর্ষণ করতে থাকে।
অবশেষে ১০ ডিসেম্বর/৭১ পাক-হানাদার বাহিনীকে চুড়ান্ত ভাবে পরাজিত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় হাজারও ছাত্র-জনতা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে। মুহু-মুহু শ্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো এলাকা। এ উপলক্ষে প্রতি বৎসর স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে ১০ডিসেম্বর বনাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে থাকেন। তবে বিএনপি পন্থি মুক্তিযোদ্ধারা ১১ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত দিবস হিসাবে পালন করে আসছেন।