যমুনায় পানি অনেক কমেছে, পানি একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে, আমাদের নৌকা ডুবো চরে আটকা পড়েছে, ঠেলে-গুতে পাড় করতে হবে, এ ছাড়া কোনো উপায় নেই স্যার। কথাগুলো বলছিলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা। মোস্তা উপজেলা পরিষদের একজন নৌকা চালক পদে কর্মরত। সে শুক্রবার দুপুরে নৌকা নিয়ে যাচ্ছিলেন পৌর এলাকার কালীতলা ঘাট থেকে কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপচা চরের উদ্দেশ্যে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম নৌকায় শোচপচা চরের একটি গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প দেখানোর জন্য সংবাদিকদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। সংগে আরও ছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: গোলাম মোর্শেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সারোয়ার জাহান। সংগে ছিলেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও। গন্তব্যে পৌঁছার আগেই মাঝনদীর দেলুয়াবাড়ী চরের নিকট যমুনা নদীর ডুবো চরে নৌকা আটকে যায়। জানা গেছে, যমুনা নদীতে পানির প্রবাহ অনেক কমে গেছে। এজন্য নদীর বিভিন্ন রুটে নৌকা চলাচল দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। ভাড়ায় নৌকা চালক আবদুল মতিন বলেন, নদীর নাব্যতা সংকট নতুন কিছু না, প্রতি বছর আমাদেরকে মুখোমুখি হতে হয় এ সমস্যার এজন্য আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে সময়ও অপচয় হয় অনেক। কি করবো পেট ঠিক রাখতে নৌকা চালাতে হয় আমাদের। শোনপচা চরের ওসমান আলী মেম্বার বলেন, প্রতি বছর এ সমস্যা হওয়ায় চরের লোকদের বালুময়পথ যাওয়া পর নদী পথে নৌকায় নদী পাড় হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ রকম দুর্ভোগের শেষ কবে হবে তা আমাদের জানা নেই। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান তাসকিয়া বলেন, যমুনার বিভিন্ন পথে নৌ রুট স্বাভাবিক রাখতে নদী ড্রেজিং করতে হবে কিন্তু এটা আমাদের কাজ নয়। এটি বিআইডাব্লুউটিএ’র কাজ। যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নৌ পথটি সচল রাখতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো, যাতে করে নৌ পথটি বছর জুড়ে সচল থাকে।