ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার পাগলা থানাধীন কাজা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গণধর্ষনের অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তাঁদের সোমবার বিকালে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রামের সজিব (৩৯), হানিফা (৩০), আলামিন (৩৫), মোস্তফা (৪৫), জুয়েল কুমার (২৮), শারফুল (৩০), মনির (৩২), বাবুল (৩৬), মানিক (৫৬) ও জাকির (৩০)।
জানা যায়, পাশ্ববর্তী ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটায় সাংবাদিক কায়সারের বাসার ভাড়াটিয়া গার্মেন্টস কর্মী রেখা আক্তার(৩৫) উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের কাজা গ্রামের সজিব ও হানিফার পূর্ব পরিচিত। মাঝে মধ্যে রেখা আক্তার সজিব ও হানিফার এখানে বেড়াতে আসে। গত রোববার রাতে সজিব ফোন করে রেখাকে আসতে বললে সে চলে আসে। গভীর রাতে রেখা আক্তার আক্তার ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে গণ ধর্ষনের কথা জানালে কাজা গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাষ্যমতে প্রথমে অটো চালক জাকির, সজিব ও হানিফাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের কথা অনুযায়ী অপর ৭ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় পাগলা থানা পুলিশ।
সাবেক ইউপি সদস্য জরিনা খাতুন (৫৬) বলেন, এই মেয়েটির কোন আত্মীয় স্বজন এই এলাকায় নেই। তার পরও সে এই এলাকায় প্রায়ই আসা-যাওয়া করতো। গত রোববার রাতে এই মেয়েটির কথা অনুযায়ী পুলিশ প্রত্যেককে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
অটো চালক জাকিরের স্ত্রী জান্নাত (২৫) বলেন, আমার স্বামী অটো চালক। সে অটো চালিয়ে এসে বাড়িতে ঘুমিয়ে পরে। রাতে পুলিশ এসে আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) সজিব রহমান বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে মেয়েটিকে কাজা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।