তথ্য সংগ্রহকারীদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি না যাওয়া, নিয়ম না মেনে নির্দিষ্টস্থানে ও ব্যক্তি বিশেষের বাসায় বসে নতুন ভোটারের তথ্য হালনাগাদ করাসহ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম মুরতজা আবেদীন নির্বাচন কমিশনে বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেন। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্সিলর বলেন, অন্য ওয়ার্ডে বসবাসকারীদেরও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করাসহ আমার ওয়ার্ডে ভোটার তালিকা হালনাগাদেরক্ষেত্রে নানান অনিয়ম হয়েছে। আর এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে একাধিকবার অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো তদন্ত কর্মকর্তা এ পর্যন্ত আমাকে জিজ্ঞাসাবদই করেনি। আদৌ তদন্ত হচ্ছে তাও বলতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, সবশেষ গত ৭ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর তার অভিযোগে বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা দিয়ে আসছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে উল্লেখ রয়েছে, গত ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। নতুন ভোটার হতে হলে অনলাইন জন্মসনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি, বাড়ি ভাড়ার রশিদ, কাউন্সিলর কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র, বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন। কিন্তুওয়ার্ডের নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে এসব কাগজপত্র যথাযথভাবে সংগ্রহ করা হয়নি।
তথ্য সংগ্রহকারী কাশিপুর গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক শায়লা পারভীন বলেন, যেটা লিগ্যাল সেটাই করা হয়েছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারীদের সুপারভাইজার শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ কাউন্সিলের সাথে কথা হয়েছে, ডোর টু ডোর গিয়ে সবকিছু যাচাই বাছাই করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে এবার হাজারের মতো নিবন্ধিত করা হয়েছে, যারমধ্যে আগামী সিটি নির্বাচনে দুই থেকে আড়াইশ’ ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন।
সার্বিক বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, অভিযোগের পর বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ১৫ জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। সেসময় ওই কাউন্সিলরের যদি কেনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন।