চাঁদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সুমন গাজী(৩২) নামে এক লঞ্চ যাত্রী যুবককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে একদল দৃর্বত্ত। ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ১১টা ১৫ মিনিটের সময় চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ওই যাত্রীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় নৌ পুলিশ। গতকাল ১৪ ডিসেম্বর বুধবার ভোর বেলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন গাজী মারা যায়।
নিহত মো. সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের গাজী স্কুল এলাকার মো. স্বপন গাজীর ছেলে। সুমন ঢাকায় বিমানবন্দর এলাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কর্মরত ছিল। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকা থেকে এমভি সোনার তরী-৩ লঞ্চযোগে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সুমন গাজী। পথিমধ্যে লঞ্চটি চাঁদপুরের কাছাকাছি আসলে অপর লঞ্চ যাত্রী বাবুর সাথে লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাবু লঞ্চযাত্রী সুমনকে হুমকি-ধমকি দেয়। লঞ্চটি রাত সোয়া ১১টায় চাঁদপুর ঘাটে ভিড়লে বাবু ও তার বন্ধুরা মিলে সুমনের উপর চড়াও হয়। এ সময় তারা সুমনকে বেদম মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর বেলা মৃত্যু হয়।
সুমনের মেঝো ভাই শরিফ গাজী ও চাচাতো ভাই মিজান বলেন, সুমন ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। সে বিবাহিত। সম্প্রতি সে দুই লাখ টাকা ঋণ করে এলাকায় জমি কিনে। সেই টাকার মাসিক কিস্তি পরিশোধের করতে সে চাঁদপুর আসছিল। সে খুব সহজ সরল একজন ছেলে। যারক আমার ভাইকে হত্যা করেছে, আমরা তাদের ফাঁসি চাই। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার বুকে আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা সুমনের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো। এদিকে,চাঁদপুর নৌ এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টার সময় ১৩/১২/২০২২ খ্রীঃ রাত ১১.১৫ টায় চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে সংঘটিত হত্যার ঘটনা এবং তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।