নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিনা মুল্যে একদিনের চক্ষু শিবির আয়োজন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ওই চক্ষু শিবিরের আয়োজন করেন সৈয়দপুর কমিউনিটি চক্ষু হাসপাতাল।
সকালে ওই চক্ষু শিবিরের শুভ উদ্বোধন করেন সৈয়দপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর তথা বাংলাদেশের বিশিষ্ঠ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ কামরুল হাসান সোহেলসহ সেবাদানকারী আরও কয়েকজন ঢাকা থেকে আগত চক্ষু বিশেষজ্ঞ। সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম এ করিম,ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক গোপাল রায়, অর্থ সম্পাদক নজির হোসেন নজু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এম আর আলম ঝন্টুসহ অনেকে। ওই শিবিরে ১ হাজার ৫শ জন অসহায় ও গরীব রোগীদের বিনা মুল্যে চক্ষু পরীক্ষা অপারেশন ,চশমা ও ওষুধ দেয়া হয়।
ওই চক্ষু শিবির পরিদর্শনে আসেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন। এ সময় তিনি ডাঃ কামরুল হাসান সোহেল এর প্রশংসা করে বলেন,আজ অনেক ডাক্তার আছেন,তাঁরা শুধু নিজের কথাই ভাবেন। অন্যরা কেমন আছেন তা চিন্তাও করেন না। সমাজে যারা অসহায়,গরীব অর্থের অভাবে কঠিন রোগ নিয়ে তিল তিল করে নিজেকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কেউ কেউ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি মনে করি বিশেষ করে প্রত্যেক চিকিৎসকের
এ বিষয়গুলো নজর দেয়া উচিৎ। অন্যান্য চিকিৎসকরা এটি না করলেও ডাক্তার কামরুল হাসান সোহেল তা করেছেন। যার চক্ষু নাই তারা যে কতটা অসহায় সেটা আমরা সবাই জানি। ডাক্তার সোহেল তাদের মুখে হাসি ফুটে তুলেছে।
এ ব্যাপারে ডাক্তার সোহেল বলেন,আমার বাবা একজন চিকিৎসক। আমি বাবার কাছে মানুষের সেবা করতে শিখেছি। জীবনে টাকার প্রয়োজন আছে তবে মানুষের সেবা করার মত ভাল কাজ আর কোথাও নেই।
আল্লাহ যতদিন আমাকে বেঁচে রাখবেন আমি যেন এভাবে বিনা মুল্যে মানুষের ততোদিন সেবা ূিয়ে আসতে পারি এ দোয়া সকলের কাছে প্রত্যাশা করি।