আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রবাসীর জমি দখল করে কৌশলে চরমোনাই পীরের ব্যানারে মাদ্রাসা ভবন নির্মান করা হয়েছে। এনিয়ে দখলকারী মীর সোহরাব হোসেন ও চরমোনাই পীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতের স্থিতিবস্থার নির্দেশ অমান্য করে প্রভাবশালী দখলদার স্থাপনা ও ভবন নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের। শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী হারুন অর রশিদ অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী তামাক ব্যবসায়ী মীর সোহরাব হোসেন তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত প্রায় ৭০ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। তিনি (সোহরাব) অঢেল টাকার মালিক হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার জমিতে একটি মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।
হারুন অর রশিদ আরো অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত মীর সোহরাব হোসেন নিজের অবৈধ দখলবাজি ধামাচাঁপা দিতে কৌশলে চরমোনাই পীরের ব্যানারে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। এনিয়ে মীর সোহরাব হোসেন ও চরমোনাই পীরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলার বাদী মৃত আবদুল গফুর খলিফার ছেলে সৌদি প্রবাসী হারুন অর রশিদ আরো অভিযোগ করেন, মীর সোহরাব হোসেন আমার জমি দখল করে মারকাযুল কারীম সামেলা মাজেদ কওমী মাদ্রাসা নির্মান করেছেন।
ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদের স্ত্রী কাজল বেগম বলেন, বিবাদী মীর সোহরাব ও তার অনুসারীরা আমাদের সম্পত্তি দখলের পর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রভাবশালীদের বাঁধা প্রদান করায় তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে মীর সোহরাব হোসেন বলেন, আমি হারুন-অর রশিদের অন্যান্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করে মাদ্রাসা নির্মাণ করেছি। ওই জায়গা আমার ক্রয়কৃত, আমি কারো জায়গা দখল করিনি। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আদালতের আদেশ অমান্য করিনি। আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি তিন-চারদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাতিলের একটি আদেশ হয়েছে, তাই পূর্ণরায় নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।