১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্থানীয়ভাবে উদ্যাপিত নানা কর্মসূচির প্রকাশিত সংবাদে নাম না আসায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে দুইদফা হামলা চালিয়ে এক সাংবাদিককে গুরুত্বর আহত করেছে। একপর্যায়ে ওই সাংবাদিককে অপহরনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে হামলাকারীরা।
মুমূর্ষ অবস্থায় আহত সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার টরকী বন্দর ভিক্টোরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায়। এ ঘটনায় রোববার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির গৌরনদী উপজেলা শাখার সভাপতি।
রোববার দুপুরে হাসপাতালে শষ্যাশয়ী সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসান বলেন, শনিবার শেষ বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে টরকী বন্দরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় কসবা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী পদ-পদবিহীন সরকার দলের নেতা পরিচয়দানকারী রাসেদ হাওলাদার ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে তার পথরোধ করে। একপর্যায়ে বিজয় দিবসের প্রকাশিত সংবাদে তার (রাসেদ) নাম না আসার অজুহাতে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে সাংবাদিককে মারধর করে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরনের চেষ্টা চালায়। প্রাণবাঁচাতে সাংবাদিক ফারুক দৌঁড়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বিতীয় দফায় সাংবাদিক ফারুককে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতী দিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা। একই দাবিতে রোববার সকালে গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।