কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, কটিয়াদী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন সহ প¦ার্শবর্তী হাওর অধ্যুষিত হাওর গুলোতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ফসলী জমি নষ্ট করছে মাটি খেকোরা। এসব হাওর অধ্যুষিত উপজেলা প্রশাসনগুলো দেখেও না দেখার ভান করার কারণে জনগণের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এর ফলে মাটি খেকোরা আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য একেবারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কটিয়াদী পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ফসলী জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন জেনেও না জানার ভান করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। ফসলী জমি থেকে মাটি কটার ফলে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি ভাবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন কায়দায় এসব ব্যবসায়ীদের দায়সারা ভাবে চলার জন্য সুযোগ দিচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, কটিয়াদী আঞ্চলিক সড়কের ৪নং ওয়ার্ডের চড়িয়াকোনা হাওরে ভেকু দিয়ে মাটি কাঁটার ফলে বিভিন্ন লড়ি-ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে এসব ধোলা বালিতে পৌরবাসি যেমন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি ভাবে প্রশাসন যেন একট্টা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওরে অর্ধশতাধিক ভেকু দিয়ে ফসলী জমি থেকে মাটি কাটছে অসাধু মাটি খেকোরা। তারা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাচ্ছে বলে জনশ্রুতিতে শুনা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপজেলা প্রশাসনকে এই বিষয়ে ফোন করলেও তারা কোন তুয়াক্কা করছে না। এই প্রশাসন যেন ঘুমের ঘরেই রয়েছে বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ। এই বিষয়ে রোববার বিকেলে কটিয়াদী সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ জালাল উদ্দিনকে মুঠো ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।