বগুড়া সারিয়াকান্দির ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ফলাফল পরিবর্তন করার অভিযোগে ই ভি এম মেশিন জব্দ করা হয় গত ২৮ মার্চ। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হলেও শুরু হয়নি বিচারিক কার্যক্রম।
গত ২৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের ই ভি এম মেশিন জব্দ করেছিল বগুড়া জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী জর্জ মমিনুল ইসলাম। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি বিচারিক কার্যক্রম। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ই ভি এম মেশিনের ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে মর্মে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন ৪২ ভোটে পরাজিত কাজলা ইউপির নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী। গত ৩ মার্চ বগুড়া জর্জ কোর্টে এ বিষয়ে মামলা করেন তিনি।
ষষ্ঠ ধাপে গত ৩১ জানুয়ারি সারিয়াকান্দির ১১ টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কাজলা ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ এ এস এম রফিকুল ইসলাম ২৮৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ জাহান আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৩৫ ভোট।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী শাহ জাহান আলী ইভিএমের প্রিন্ট কপি সারিয়াকান্দি নির্বাচন অফিস থেকে তুলে দেখেন পাকুড়িয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল প্রিন্ট করা হয়েছে ৩০ জানুয়ারি রাত ১০ টা ৫৮ মিনিটে। অথচ ভোট হয়েছে ৩১ জানুয়ারি।
অভিযোগকারী শাহ জাহান আলী জানান, কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসার ছাইহাটা ডিগ্রী কলেজের সহঃ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি যখন জানতে পারি মতিয়ার প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছেন। তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিল। ফলে তাকে অন্যত্র ডিউটি দেয়ার জন্য আমি রিটার্নিং অফিসারকে ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন অফিসার তার কোন প্রতিকার করেন নি।
শাহজাহান আলী জানান, গত ৭ মাস ধরে এ বিভাগে কোন বিচারক বসেনি। তবে জানতে পেরেছি এখানে একজন নতুন বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যিনি আগামী জানুয়ারি মাসে বসার কথা রয়েছে।
সারিয়াকান্দি নির্বাচন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগের দিন ফলাফল চূড়ান্ত করা সম্পর্কিত মামলায় মহামান্য কোর্টের নির্দেশক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে আমরা ইভিএম মেশিন আদালতের কাছে জমা দিয়েছি। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।