নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় দুই ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কনিশন দুদক।
২০ ডিসেম্বর দুদকের রংপুর অঞ্চলের পরিচালক হোসেইন ফরিদ ও উপসহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা তদন্তে আসেন। এ সময় তারা ব্যবসায়ি আলতাফ হোসেনের বিভিন্ন বহুতল ভবনের কক্ষগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিভাবে সরকারী জায়গায় বিশাল বিশাল অট্টালিকা গড়ে তোলা হল সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সরকারী জায়গায় ভবন নির্মাণ করে তা আবার দেয়া হয়েছে ভাড়ায়। ওই অবৈধ জায়গায় গড়ে ওঠা ভবনে আবার ভাড়ায় নিয়েছে ঢাকা ব্যাংক, দি ঢাকা মার্কেটাইল ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংকের শাখা। ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী দুদকের এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে ম্যানেজারগন কোন জবাব দিতে পারেননি। অপরদিকে জয়বাল আবেদীনের ভবনে যান দুদক তদন্ত টিম। কথা বলেন ওই সকল ভবনে যারা দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করেছেন তাদের সাথেও।
দুদক পরিচালক হুসেইন ফরিদ বলেন ইতঃপূর্বে বেশ কয়েক বার ওই দুই ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে দুদক থেকে তদন্ত করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আবার তদন্তে আসা। তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে আলতাফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম জানান,নিয়ম অনুযায়ী আমরা ওই সম্পত্তি রেলওয়ের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়েছি। সৈয়দপুর পৌরসভা থেকেও লিজ গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মিত খাজনা, ট্যাক্স প্রদান করা হয়ে থাকে।
সৈয়দপুর শহরের ৯০ ভাগ জায়গা রেলওয়ের। কেউ দখল করে আছে আবার কেউ নিয়মে কাগজপত্র করে ব্যবসা করে আসছে।