সুনামগঞ্জে ইয়থ এন্ঙি হাঙ্গার ও হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে ফ্রিডম অফ রিলিজিওন অর বিলিফ লিডারশীপ নেটওয়ার্ক এর সহযোগিতায় “সামজিক সম্প্রীত সংলাপ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংষদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুল রহমান মিসবাহ বলেছেন, নামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরাই আগামী দিনের আলোর দিশারী। আসুন তুলনদের বলি, আপনারা জাগ্রত হোন, এই তারুণ্যের শক্তি যতবার জাগ্রত হয়েছে ততবারই বিজয় হয়েছে।
নেই ১৯৫২ এর রক্তাক্ত পথধরে আমাদের ৬৬ ছয়দফা, ৬৯ এর গণ অভুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধির মধ্য দিয়ে আমাদের এই বাংলাদেশ। সেই ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে প্রতিটি জায়গায় আমাদের তরুণরা জেগে উঠেছিল বলে, রুখে দাঁড়িয়েছিল, নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল বলেই এই পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কাজেই আবারো তরুণদের জাগতে হবে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। তিনি এ আয়োজনের জন্য দি ঙ্গার প্রজেক্টকে অভিনন্দন জানান।
মঙ্গল বার সুনামগঞ্জের শহীদ আবুল হোসেন মিলনায়তনে সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী মিসবাহ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের প্রভাষক রজত কান্তি সোম, হাওর বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, দি হাঙ্গার বাংলাদেশ এর কর্মসূচি সমন্বয়কারী আবু বকর সিদ্দিক রুবেল, সুজন এর সিনিয়র সহ সভাপতি আলী হায়দার, জামালগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান তালুকদার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহরম আলী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুর ছাত্তার প্রমূখ।
শুরুতে “সাম্প্রদায়িত সহিংসতা বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকাই প্রধান” বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের মাশকুরা খানম বৃষ্টি, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, এমএন মোস্তাফিজুল ইসলাম ও এনসিটিএফ এর মোয়াজ মাহমুদ, ফজলে রাব্বি অভি, ইমতিয়াজ আহমেদ। বিতর্কে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন শাহিনা চৌধুরী রুবি। বিচারক ছিলেন, হিমাদ্রি শংকর তালুকদার, মানিক উল্লাহ ও মো. ওসমান গণি। বিতর্কে বিজয়ী হয় সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ দল, শ্রেষ্ট বক্তা নির্বাচিত হন এমএন মোস্তাফিজুল ইসলাম।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী সুনামগঞ্জের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিকনেতৃবৃন্দ, ধর্মীয়নেতা, সাংবাদিক, নাগরিকসমাজের প্রতিনিধি এবং তরুণ নেতৃত্ব সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সমাজ থেকে পারস্পরিক ঘৃণা-বিদ্বেষ দূরকরা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিতহয়। আলোচনায় বক্তাগণ সমাজ ও রাষ্ট্রে ঘৃণা বিদ্বেষ এর বিস্তারের কারণ ও প্রতিকারের উপায়, এক্ষেত্রেসরকার, রাজনীতিবিদ, নাগরিক ও তরুণদের দায়িত্বশীল ভূমিকা বিষয়ে মতামত ব্যক্তকরেন।
আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীগণ সম্মিলিত ভাবে সমাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সম্প্রীতির সুদীর্ঘ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে দিহাঙ্গার প্রজেক্ট নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফ্রিডম অবরিলিজিওন এ- বিলিভলিডারশীপ নেটওয়ার্ক-এর সাথে যৌথভাবে একটি কার্যক্রম শুরু করেছে।ইতোমধ্যেদেশেরছয়টিবিশ্ববিদ্যালয়সহ১৭টিশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেতরুণশিক্ষার্থীদেরঅংশগ্রহণে ‘সামাজিকসম্প্রীতি’শীর্ষককর্মশালাঅনুষ্ঠিতহয়েছে।