গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কৃষক সমাবেশ ও সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের আটাশীবাড়ী গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কৃষক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে খামারবাড়ী ঢাকার সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ^াস, খামারবাড়ী গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. অরবিন্দ কুমার রায়, ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের উপ- প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ^াস, কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায়, রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাগচী, রাধাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সর্বানন্দ বৈদ্য, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সদানন্দ গাঙ্গুলী, কৃষক মহিউদ্দিন খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
কৃষক সমাবেশের আলোচনা সভা শেষে সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
কৃষক মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নতুন পদ্ধতিতে ধান চাষ শুরু করলাম। এখানে ধান রোপনে শ্রমিক লাগেনা। ধান কাটার সময়ও অল্প শ্রমিক দিয়ে আমরা ধান কাটতে পারবো। এজন্য আমাদের ব্যয় অনেক কম হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিটুল রায় বলেন, এ উপজেলায় সমলয়ে ধান চাষের জন্য রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের আটাশীবাড়ী গ্রামে ৮০জন কৃষককে সম্পৃক্ত করেছি। এই ৮০ জন কৃষকের জমিতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এই পদ্ধতিতে কৃষকরা ধান চাষে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। এ উপজেলায় এ বছরই এই পদ্ধতি শুরু করা হয়েছে। আগামীতে এই পদ্ধতি আরো বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের অংশ হিসেবে সরকার সমলয়ে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করেছে। বর্তমানে দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলায় এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। সরকার ৩৩০ কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ দিয়েছে। এই পদ্ধতি চালু করায় দেশের ৪৬লক্ষ ৯৬হাজার কৃষক উপকৃত হচ্ছে। এসব কৃষকগণ বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক পাচ্ছে। পূর্বের কোন সরকারই এ ভাবে কৃষকদের পাশে এসে দাড়ায়নি।