শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাগমারায় শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্দি কাশি ও ডায়রিয়াসহ শীত জনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রাজশাহীর বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের প্রতিদিন সাড়ে তিনশ থেকে চারশ রোগিকে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগির সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় শীতমুক্ত পরিবেশে রেখে দ্রুত আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধদের চিকিৎসা কেন্দ্রে আনতে হবে।
বুধবার বেলা সাগে এগারোটার দিকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের গিয়ে দেখা যায় সেখানে দীর্ঘ লাইন ধরে রোগিরা টিকিট সংগ্রহ ও ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষমান এসব রোগিরা জানান, এখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করা গেলেও ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আগত রোগিদের অধিকাংশই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভবানীগঞ্জের আরতি রানী (৫৬) ও সাদোপাড়ার বিলকিস বানু(৫৮) জানান, তারা সর্দি কাশি জ¦র ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেই পেট কামড়ানো ও পাতলা পায়খানার সমস্যা রয়েছে। বেলা তখন বারোটা বাজলেও তারা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি। প্রায় একই সমস্য্যার কথা জানান, কসবা গ্রামের আবুল হোসেন(৬৮)। তিনি টিকিট নিয়েছেন তবে ডাক্তারের দেখা মিলেনি দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরও। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর টিকিট বিতরণকারী আনিছুর রহমান জানান, এখন শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রোগির সংখ্যাও বেড়েছে। আগে প্রতিদিন দুইশ থেকে আড়াইশ রোগি আসলেও এখন রোগির চাপ কিছুটা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন সাড়েতিনশ থেকে সাড়ে চারশ রোগিরা টিকিট নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী জানান, এখন ওষধের পরিমান অনেক বেড়েছে। আমরা সকল রোগিকে তাদের প্রয়োজনীয় ওষধ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে তিনি ডাক্তার স্বল্পতার কথা স্বীকার করে বলেন, সিডিউল থাকলেও কোন ডাক্তার কী কারণে অনুপস্থিত থাকছেন সেটা আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।