এক সপ্তাহ পরেই নতুন বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরনের কথা থাকলেও বই পাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে শংকা। প্রাথমিকের অধিকাংশ বই এখনও আসেনি ও মাধ্যমিকের এসেছে অর্ধেক। অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২হাজার ২শত ৩৬ সেট নতুন বই চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে প্রায় ৪হাজার সেট বই। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ৩হাজার ৭শত সেট বইয়ের মধ্যে সব বই পাওয়া গেছে। প্রথম শ্রেনীর ৩হাজার ৬শত ৮০ সেট চাহিদার বিপরতীতে শুধু মাত্র বাংলা ও ইংরেজি বই এসেছে। গনিতের কোন বই এখনও আসেনি। দ্বিতীয় শ্রেনীর ৩হাজার ৭শত ৭৬ সেট চাহিদার বিপরতীতে শুধু মাত্র ইংরেজি বই পাওয়া গেছে। বাকী বিষয়ের কোন বই এখনও আসেনি। তৃতীয় শ্রেনীর চাহিদা ৩হাজার ৭শত ৩০ সেট, চতুর্থ শ্রেনীর চাহিদা ৩ হাজার ৮শত ৫০সেট ও পঞ্চম শ্রেনীর চাহিদা ৩হাজার ৫শত সেট বইয়ের মধ্যে কোন বই এখনও পৌছায়নি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে।
অপরদিকে ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩হাজার ৬শত সেট নতুন বই চাহিদার বিপরতীতে পাওয়া গেছে ৮হাজার ৫শত ৫০সেট বই। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেনীর চাহিদা ৩ হাজার ৫শত সেট বইয়ের মধ্যে সব বই পাওয়া গেছে। সপ্তম শ্রেণীর চাহিদা ৩হাজার ৩শত ৫০শত সেট বইয়ের মধ্যে এখনও কোন বই আসেনি। অষ্টম শ্রেণীর চাহিদা ৩ হাজার ৩শত ৫০শত সেট বইয়ের মধ্যে সব বই পাওয়া গেছে। নবম শ্রেণীর চাহিদা ৩হাজার ৫শত সেট বইয়ের মধ্যে অর্ধেক বই এসেছে। বাকী বই কবে আসবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি শিক্ষা অফিস। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমি আশাবাদী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১লা জানুয়ারীর পূর্বে বাকী সকল বই পৌছে দিবেন।