‘বাংলার গায়েন’ জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো সিজন-২ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির সন্তান শান্তা ইসলাম। তিনি ঝালকাঠির সদর উপজেলার খোকন হাওলাদারের মেয়ে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শান্তার এ সাফল্যে অর্জনে তার পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠীসহ গোটা দক্ষিঞ্চলবাসী উচ্ছ্বসিত। সম্প্রতি তার সফলতা অর্জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভাকাঙ্খীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তার ঝড় তুলেছেন। বরিশাল ও ঝালকাঠির গণমাধ্যমকর্মী, সংস্কৃতিজন, লেখক, রাজনীতিক, শিক্ষক, সংগঠকসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে শান্তার গানের প্রশংসা করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের সংস্কৃতিজনদের মতে শান্তার এ অর্জনকে তারা গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসীর অর্জন হিসেবে দেখছেন।
ছোটবেলা থেকে টেলিভিশনে গান শুনতে পছন্দ করতেন শান্তা। সেই গানের সুরই শান্তার মনে গেঁথে যায়। যদিও তার পরিবার গানের পরিবার ছিলোনা। চার বছর বয়সে গানের ওস্তাত মমতা ইসলাম মলি ও শফিকুল ইসলাম শফি দম্পতির কাছে গানের হাতেখড়ি হয় শান্তার। তার মা-বাবা গানের সাথে জড়িত না থাকলেও গান বাজনা তাদের পছন্দের ছিলো। তাই গান পরিবেশন ও গান শেখার দুটোরই উৎসাহ পেয়েছেন মা-বাবার কাছ থেকে।
শান্তা ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, বিজয় শুধু আমার একার নয়, এটা সকলের বিজয়। আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার জন্মভূমি বরিশাল অঞ্চলের মানুষের ও আমার শিক্ষক, সহপাঠিদের অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। এজন্য সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ ও ঋণী। এই সাফল্যের পেছনে সবাই উৎসাহ জুগিয়েছেন। সবার ভালোবাসায় এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। সামনে আরও পথ পাড়ি দিতে তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে শান্তার গান আরটিভি ‘বাংলার গায়েন’ ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের লক্ষাধিক দর্শক গান গুলো দেখেছেন। আর এখানে শান্তার গানে উৎসাহ দিতে ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন অনেকে। এগুলোকে প্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন তিনি।